রামুর গর্জনিয়ায় এক প্রবাসী পরিবার কে নানাবিধ নির্যাতনের মাধ্যমে বসতঘর থেকে উচ্ছেদের পায়তারা

রামুর গর্জনিয়ায় এক প্রবাসী পরিবার কে নানাবিধ নির্যাতনের মাধ্যমে বসতঘর থেকে উচ্ছেদের পায়তারা

দেশজুড়ে

জুন ৮, ২০২৩ ১২:১৩ অপরাহ্ণ

এস এম হুমায়ুন কবির, কক্সবাজার

কক্সবাজারের রামুতে প্রবাসীর বাড়ি ভিটা থেকে উচ্ছেদে মরিয়া হয়ে উঠেছে কুচক্রী মহল। হ্নদয়বিদারক ঘটনায় হতভম্ব আশপাশের গ্রামের সচেতন মহল। কক্সবাজারের রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের (৬ নং ওয়ার্ড) মাঝির কাটা মিজ্জিবর কাটা এলাকায় চাঞ্চল্যকর ন্যাক্কারজনক এ ঘটনা ঘটেছে।

এলাকাবাসী সূত্রে আরো জানা যায়, জটিল রোগে আক্রান্ত নুরুল আলম দীর্ঘ দিন ধরে প্রবাসে থাকেন কাতারে। দীর্ঘ প্রায় ১০/১১ বছর পূর্বে বিয়ে করেন কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের লিংক রোড় এলাকার যুবতী জেসমিন আক্তার কে।নুরুল আলম জেসমিন দম্পতির সন্তানদের নিয়ে বেশ ভালই চলছিল তাদের সংসার।এরই মধ্যে নানাবিধ জটিল রোগে আক্রান্ত নুরুল আলমের কয়েকটি বড় ধরনের হার্ট সার্জারী ও হয়েছে। তবু ও পরিবারের উপার্জন সক্ষম ব্যক্তি নুরুল আলম পরিবারের স্বচ্ছলতার আশায় মরণ কে উপেক্ষা করে কাতারে শ্রমিকের কাজ করে দেশে রেমিট্যান্স পাঠায়।

একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা নিজের শরীরে নানান ধরনের রোগে যখন বাসা বেঁধেছে, রোগের কারণে দিনদিন যখন দুর্বল হয়ে পড়েন ঠিক তখনই সহজ-সরল নুরুল আলমের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে নিকটাত্মীয় ও প্রতিবেশী মহিবুল্লাহর স্ত্রী লায়লা বেগম তার সন্তানদের নিয়ে ভিটা বাড়ি থেকে উচ্ছেদের নীল নকসা আঁকেন। নানাবিধ চক্রান্ত ও নির্যাতনের মাধ্যমে ঘর-ভিটে জবরদখলের রীতিমত মহড়া চলছে অভিযোগ করে প্রবাসী নুরুল আলমের স্ত্রী জেসমিন আক্তার নিজের মাথা গোঁজার শেষ ঠিকানা ঘর ও ভিটে মাটি রক্ষায় প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

প্রবাসী নুরুল আলমের স্ত্রী জেসমিন আক্তার দৈনিক গণমুক্তি কে কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, আমার স্বামী নুরুল আলমের প্রবাসের টাকায় লায়লা বেগম ও মুহিবুল্লাহর সংসার চলেছে।ভিটে ক্রয় ও বাড়ী নির্মানের টাকা ও আমার স্বামীর।অথচ আজ ব্যবহারের পানির চাহিদা মেটাতে টিউবওয়েল বসানোর কাজে ও বাধা দিচ্ছে লাইলা বেগম ও তার সন্তানেরা।পূরাতন টিউবওয়েলে ও পাথর দিয়ে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

একই এলাকার গৃহবধূ তসলিমা আক্তার জানান, বিয়ে সূত্রে মিজ্জিবর কাটায় ১০ বছর ধরে বসবাস করছেন তারা।তখন থেকে প্রতিনিয়ত নির্যাতিত হচ্ছে প্রবাসী নুরুল আলমের স্ত্রী জেসমিন আক্তার। একই এলাকার মুহিবুল্লাহ ও তার স্ত্রী লাইলা বেগম বসতভিটা থেকে উচ্ছেদের উদ্দেশ্যে অবর্নীয় নির্যাতন চালিয়ে আসছে।

মিজ্জিবর কাটা এলাকার যুবক হেমায়েত উল্লাহ জানান,লাইলা বেগম এলাকার প্রভাবশালী মহলের আস্থাভজন।লাইলা বেগমের ইশারায় অনেক সময় জেসমিন আক্তার কে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে চিহ্নিত কয়েক ব্যক্তি।

নির্যাতনের মাত্রা দিনদিন বৃদ্ধি পাওয়ায় অসহায় জেসমিন আক্তারের পরিবার কে রক্ষায় প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

এলাকাবাসী অসহায় জেসমিন আক্তারের পরিবার কে লাইলা বেগমের নির্যাতনের কবল থেকে বাচাতে জরুরী প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এদিকে লাইলা বেগমের ও তার সন্তানদের বিরুদ্ধে আনীত সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে এ প্রতিবেদক কে জানান,এলাকার গান্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে গ্রাম্য শালিশের রায় না মেনে উল্টো সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে হয়রানি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *