যে ২০ শর্তে আ.লীগ-বিএনপিকে ঢাকায় সমাবেশের অনুমতি ডিএমপি’র

যে ২০ শর্তে আ.লীগ-বিএনপিকে ঢাকায় সমাবেশের অনুমতি ডিএমপি’র

জাতীয় স্লাইড

অক্টোবর ২৮, ২০২৩ ১০:৪৪ পূর্বাহ্ণ

আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে একই ধরনের ২০টি শর্তে তাদের পছন্দের জায়গায় সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগ এবং পল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপিকে সমাবেশের এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার রাতে বিষয়টি যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছেন ডিএমপি কমিশনার (অপারেশন্স) হাবিুবুর রহমান। তিনি জানান, জামায়াতে ইসলামীকে শাপলা চত্বরে সমাবেশের অনুমতি চাইলেও তা দেওয়া হয়নি।

১. এই অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়। স্থান ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে। ২. স্থান ব্যবহারের অনুমতিপত্রে উল্লিখিত শর্তাবলি যথাযথভাবে পালন করতে হবে। ৩. অনুমোদিত স্থানের মধ্যেই সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। ৪. কোনোক্রমেই বেলা ১২টার আগে জনসমাগম করা যাবে না। ৫. নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে। ৬. নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশে আগতদের হ্যান্ড হেন্ড মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে (ভদ্রোচিতভাবে) চেকিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। ৭. অনুমোদিত স্থানের বাইরে কোথাও লোক সমবেত হতে পারবে না। ৮. আজান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক/ শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না। ৯. ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাত আসতে পারে-এমন কোনো বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন, বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না। ১০. অনুমোদিত সময়ের মধ্যে (দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা) সমাবেশের সার্বিক কার্যক্রম অবশ্যই শেষ করতে হবে। ১১. সমাবেশ সমাপ্তির পর প্রস্থানের সময় রাস্তায় কোথাও কোনো সংক্ষিপ্ত সমাবেশ বা অবস্থান করা যাবে না। ১২. আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি সমাবেশে বক্তব্য প্রদান বা তার কোনো বক্তব্য সমাবেশে প্রচার করা যাবে না। ১৩. রাস্তার বাম লেন ন্যূনতম ব্যবহার করে সমাবেশ করতে হবে এবং অন্য লেনসমূহ কোনোক্রমেই ব্যবহার করা যাবে না। ১৪. আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থি ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কার্যকলাপ করা যাবে না। ১৫. রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যকলাপ ও বক্তব্য প্রদান করা যাবে না। ১৬. উসকানিমূলক কোনো বক্তব্য প্রদান বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না। ১৭. সমাবেশে ব্যানারের আড়ালে কোনো ধরনের লাঠি-সোটা বা রডসদৃশ কোনো বস্তু ব্যবহার করা যাবে না। ১৮. আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও কোনো বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে। ১৯. উল্লিখিত শর্তাবলি যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে। ২০. জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই এই অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *