যে কারণে ফেসবুক পাসওয়ার্ড সঙ্গীকে দেবেন

যে কারণে ফেসবুক পাসওয়ার্ড সঙ্গীকে দেবেন

লাইফস্টাইল স্পেশাল

মার্চ ৩০, ২০২৩ ৮:৩৬ পূর্বাহ্ণ

প্রেমের সম্পর্কে মন দেওয়া-নেয়া হবে। বাঁধনে জড়ালে একে অপরের সবটা ভাগ করে নিতে হয়। কিন্তু তাই বলে ফেসবুক পাসওয়ার্ডও!‌চলুন জেনে নেয়া যাক কী বলছেন মনোবিদরা।

ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড তো বটেই, নেটফ্লিক্সের মতো ওয়েব প্ল্যাটফর্ম হোক বা আমাজনের মতো কেনাকাটা করার অনলাইন ঠিকানা— একে অপরকে বিশ্বাস করে যুগল হোক কিংবা দম্পতি, এখন পাসওয়ার্ডটি ভাগ করে নেন কমবেশি সবাই। তবে অনেকের ক্ষেত্রেই মনে প্রশ্ন জাগে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের পাসওয়ার্ডটাও কী সঙ্গীর সঙ্গে ভাগ করে নিতেই হবে? কিছু জিনিস কি ব্যক্তিগত থাকতে নেই?

অনেকেই দাবি করেন ভালোবাসায় নাকি কিছুই গোপন থাকতে নেই। ভালোবাসার এমন দাবি করে যারা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তারা একটা বিষয়ে নিঃসন্দেহ হতে পারেন, আর যাইহোক, আপনার সম্পর্কটি কিন্তু ‘খাঁটি প্রেমের’ নয়। মনোবিদদের মত এমনই।

তারা বলছেন, সম্পর্কে একে অপরের সঙ্গে নানা কিছু আদানপ্রদান হতে পারে। গান, বই, ভাবনা-চিন্তা, আদর— একে অপরের সঙ্গে ভাগ করে নেয়ার হাজার অনুষঙ্গ থাকতে পারে। কিন্তু ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম কিংবা ফোনের পাসওয়ার্ড নয়।

মনোবিদদের মতে, আসলে প্রেমের সম্পর্কে অনেক রকম রসায়ন কাজ করে। বিশেষ করে ‘পুরুষতান্ত্রিক’ সমাজে এখনো অনেক পুরুষই তাদের স্ত্রী কিংবা প্রেমিকাকে তার অধীনস্ত মনে করেন। ভাবেন তাদের কোনো ব্যক্তিগত চাওয়াপাওয়া, নিজস্ব পরিসর থাকতে পারে না। তার পোশাক-আশাক হোক কিংবা কোন বন্ধুর সঙ্গে তার প্রেমিকা বা স্ত্রী মেলামেশা করবেন— সব কিছুতেই কর্তৃত্ব করে তারা এক ধরণের আনন্দ পান।

শুধু পুরুষই নন, অনেক নারীও কিন্তু একইভাবে সঙ্গীর ফেসবুকের পাসওয়ার্ড জানার দাবি করেন। এটা হচ্ছে এক ধরনের অনিশ্চয়তা। বলা ভালো, আত্মবিশ্বাসের অভাব। নিজের সম্পর্কে, নিজেদের প্রেম কিংবা দাম্পত্য জীবনের রসায়ন সম্পর্কে কোনো বিশ্বাস না থাকলে মনে সন্দেহপ্রবণতা জন্মায়। কারো মনে যদি এরকম ইচ্ছে জন্মায় তাহলে বুঝতে হবে সম্পর্কে কোথাও একটা অবিশ্বাস তৈরি হচ্ছে। একবার পাসওয়ার্ড পাওয়া মানে, আপনার ইচ্ছা করবে সঙ্গীর আরো গোপনীয়তা লঙ্ঘন করি। তখন সঙ্গীর ফোন-ফেসবুক সবটাই দেখতে ইচ্ছে করবে। শুধু তা-ই নয়, সব সময় নজরদারি চালানোর প্রবণতাও তৈরি হবে। সম্পর্কে এমন মনোভাব রাখা কিন্তু মোটেই কাম্য নয়।

ভেবে দেখুন তো, সঙ্গীর প্রতি বিশ্বাস, শ্রদ্ধা, ভালোবাসাটা বড় না কি পাসওয়ার্ড জানতে চেয়ে সম্পর্ক ঠুনকো করে ফেলা, কোনটা বেশি জরুরি আপনার কাছে?

সূত্র: আনন্দবাজার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *