যশোরে দ্বিতীয় ধাপে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাচ্ছে ২৬২ পরিবার

জাতীয়

জুলাই ১৯, ২০২২ ৬:৪৮ অপরাহ্ণ

জয়দেব চক্রবর্তী, যশোর

যশোরে তৃতীয় পর্যায়ের (দ্বিতীয় ধাপ) প্রধানমন্ত্রীর জমি ও ঘর পাচ্ছে ২৬২ পরিবার। আগামী ২১ জুলাই প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে দ্বিতীয় ধাপে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠান বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় ও প্রেসব্রিফিংয়ে এতথ্য তথ্য জানান জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান। এধাপে সদর উপজেলা বাদে বাকি ৭ উপজেলায় ঘর হস্তান্তর করা হবে। এর আগে গত ২৬ এপ্রিল সদরে বরাদ্দপ্রাপ্ত ৫৪১ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমিসহ ঘর হস্তান্তর করা হয়।

মতবিনিময় সভা থেকে জানানো হয়, জেলায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের বরাদ্দ প্রাপ্ত গৃহের সংখ্যা ১ হাজার ৭৯১। গত ২৬ এপ্রিল জেলার আট উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর ঘর প্রদান অনুষ্ঠানের উদ্বোধনের পর ১ হাজার ৪৪৯ জন পরিবারের মাঝে জমি ও ঘর হস্তান্তর করা হয়। প্রথম, দ্বিতীয় পর্যায়ে ও তৃতীয় পর্যায়ের প্রথম ধাপে এঘর গুলো দেওয়া হয়েছে। আগামী ২১ জুলাই দ্বিতীয় ধাপে সারাদেশের ন্যায় যশোর জেলার ৭ উপজেলায় ২৬২ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমি ও ঘর হস্তান্তর করা হবে। আট উপজেলায় এর মধ্যে বাঘারপাড়ায় ৮৯ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের ৬৪ জনের মাঝে জমিসহ ঘর হস্তান্তর করা হয়। ২১ জুলাই হস্তান্তর করা হবে ২৫ টি ঘর। অভয়নগরে ৯৮টি ঘরের মধ্যে ৯৩ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমিসহ ঘর হস্তান্তর করা হয়। আগামী বৃহস্পতিবার ৫ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমিসহ ঘর হস্তান্তর করা হবে। মনিরামপুরে ৩৭৪ জনের মধ্যে ৩৪০ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমিসহ ঘর হস্তান্তর করা হয়। বাকি ৩৪ জনে মাঝে ঘর হস্তান্তর করা হবে। কেশবপুরে ১৮৪ জনের মধ্যে ১৭১ জন ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমিসহ ঘর হস্তান্তর করা হয়। বাকি ১৩ মাঝে ঘর হস্তান্তর করা হবে। ঝিকরগাছায় ১৯৬ জনের মধ্যে ৭৪ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমিসহ ঘর হস্তান্তর করা হয়। ৯২ জনের মাঝে ঘর হস্তান্তর করা হবে। চৌগাছায় ১২১ জনের মধ্যে ৮৩ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমিসহ ঘর হস্তান্তর করা হয়। বাকি ৩৮ জনের মাঝে ঘর হস্তান্তর করা হবে। শার্শায় ১৮৮ জনের মধ্যে ১৩৩ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমিসহ ঘর হস্তান্তর করা হয়। বাকি ৫৫ জনের মাথে আগমী ২১ জুলাই ঘর হস্তান্তর করা হবে। ঝিকরগাছায় ৯২ ঘর ছাড়াও ৩০টি ঘরের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে বলে জানানো হয়।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেছেন, আগে সরকার অসহায় মানুষকে চাল, ডাল উপহার দিতেন। এখন দিচ্ছেন জমিসহ ঘর। যাতে করে মানুষের স্থায়ী ঠিকানা হয়। জেলায় সরকারি খাস জমি দখলমুক্ত করে সেখানে ঘর নির্মাণ করে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের হস্তান্তর করা হচ্ছে। তবে দখলদার যদি ভূমিহীন হয়, সেক্ষেত্রে তাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *