মাদরাসায় ছাত্রকে বলৎকারের অভিযোগে শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা 

দেশজুড়ে

মার্চ ১১, ২০২৪ ৭:৫২ অপরাহ্ণ

নোয়াখালী প্রতিনিধি 

নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীর শিল্পকলা একাডেমী এলাকার দারুল আজহার মডেল মাদরাসার তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রকে (১০) বলৎকারের অভিযোগে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক মো. ইলিয়াছের বিরুদ্ধে নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে।

অভিযুক্ত শিক্ষক মো. ইলিয়াছ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর এলাহী ইউনিয়নের গাংচিল গ্রামের হাজী মুরশিদের রহমানের ছেলে।

সোমবার (১১ মার্চ) বিকেলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি।  গতকাল রোবাবার দুপুরে এই ঘটনায় নির্যাতিত শিশুর মা বাদী হয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে সুধারাম মডেল থানায় মামলা এই মামলা দায়ের করেন। এর আগে, গত ৬ মার্চ বিকালে মাদরাসার ওই শিক্ষকের রুমে বলৎকারের ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী শিশুর স্বজনেরা অভিযোগ করে বলেন, তার দুই ছেলের মধ্যে ১০ বছরের ছেলে ভিকটিমকে তিনি দারুল আজহার মডেল মাদরাসার ছাত্র। মাদরাসার হুজুর মাওলানা আবদুর জলিলের ইউনিটে থেকে পড়ালেখা করছে ভিকটিম। গত এক মাস পূর্ব থেকে ওই মাদরাসার শিক্ষক মো. ইলিয়াছ ভিকটিমকে বিভিন্ন অযুহাতে বিভিন্ন সময় নিজ রুমে ডেকে নিয়ে একাধিকবার জোরপূর্বক বলৎকার করে এবং বিষয়টি কাউকে জানালে মারধরের হুমকি দেয়। সর্বশেষ গত ৬ মার্চ বিকালে পুনরায় শিক্ষক মো. ইলিয়াছ ভিকটিমকে তার রুমে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক বলৎকার করে। এতে শিশুটির পায়ুপথে রক্তক্ষরণ দেখা দিলে ব্যাথার যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে বিষয়টি মুঠোফোনে তার মাকে অবহিত করে। পরে ভিকটিমের মা মাদরাসায় গিয়ে ঘটনাটির বিচার চাইলে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি কোন বিচার না করে বরং অভিযুক্ত শিক্ষককে বাঁচাতে তার কাছ থেকে একটি মুচলেখা নিয়ে তাকে মাদরাসা ছেড়ে যেতে সহযোগিতা করে। মুচলেখায় ওই শিক্ষক ভিকটিমসহ আরো একাধিক ছাত্রের সঙ্গে অনৈতিক কর্মকান্ডের বিষয়ে স্বীকার করেন।

দারুল আজহার মডেল মাদরাসার পরিচালক আবু সালমান বলেন,  ঘটনাটি জানার পর আমরা ওই শিক্ষকের পরিবারকে ডেকে তাদের উপস্থিতিতে বিষয়টি জানার চেষ্টা করি। পরবর্তীতে তিনি বলৎকার ছাড়া ওই ছাত্রের সঙ্গে অন্যান্য খারাপ আচরণের কথা স্বীকার করেন এবং মুচলেখায় উল্লেখ করে স্বাক্ষর করেন। তার বিরুদ্ধে যেকোন আইনি প্রক্রিয়ায় মাদরাসা কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা করবেন বলেও জানান এই পরিচালক।

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, মামলার বিষয়টি জানতে পেরে আসামি গা ডাকা দিয়েছে। তবে তাকে গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *