দুই হলের মধ্যে বিদ্যমান দেয়াল ভাঙাকে কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ও শহীদ রফিক-জব্বার হল ও নবনির্মিত শেখ রাসেল হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়ে রাত ১টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে৷
প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, নবনির্মিত হলগুলো উদ্বোধনের পর থেকেই বিদ্যমান এ দেয়ালের কারণে শেখ রাসেল হলের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের অসুবিধা হচ্ছিল। এ নিয়ে দুই হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মনোমালিন্য তৈরি হয়৷ তবে মঙ্গলবার রফিক-জব্বার হলের শিক্ষার্থীরা সেই দেয়ালে দেয়ালচিত্র আঁকতে গেলে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
এ সময় শেখ রাসেল হলের শিক্ষার্থীরা সেখানে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। পরে শেখ রাসেল হলের শিক্ষার্থীরা সেই দেয়াল ভেঙে ফেলার চেষ্টা করলে তা ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষে রূপ নেয়।
সংঘর্ষে দুই হলের শিক্ষার্থীদের ইট-পাটকেল ছুড়তে দেখা যায়। এক পর্যায়ে পার্শ্ববর্তী নবনির্মিত কাজী নজরুল হলের দ্বিতীয় তলা থেকে পেট্রোল বোমা সদৃশ আগুন ছুড়তে দেখা যায়। সংঘর্ষে গণিত বিভাগের ৪৯ ব্যাচ ও রফিক জব্বার হলের আবাসিক শিক্ষার্থী রেজাউল করিম আঘাতপ্রাপ্ত হন। তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে৷
এদিকে, সংঘর্ষের খবর পেয়ে প্রক্টোরিয়ার টিম উপস্থিত হলেও প্রক্টরের উপস্থিতিতেই সংঘর্ষ চলতে থাকে। এ সময় প্রক্টরিয়াল টিম দুই পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করলেও সংঘর্ষ চলতে থাকে। পরে রাত ১২টায় সেখানে উপস্থিত হন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলম। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় আশুলিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে৷
প্রক্টর এ সময় রফিক জব্বার হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে শিক্ষার্থীরা তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীরা একপর্যায়ে ভিসির বাসভবন বা ডেইরি গেইটে অবস্থান নেয়ার ঘোষণা দেয়৷ সর্বশেষ তথ্যমতে, দুই হলের মধ্যবর্তী সড়কে এখনও উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে।
শহীদ রফিক জব্বার হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক শাহেদ রানা বলেন, আমি হলে অবস্থান করছি। এ বিষয়ে এখনই কিছু বলতে পারব না। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি৷
এ বিষয়ে শেখ রাসেল হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক তাজউদ্দীন শিকদার বলেন, আমি একটা ব্যক্তিগত কাজে ঢাকায় অবস্থান করছিলাম৷ এখন হলে এসেছি। আমার শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার জন্য বলেছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা চেষ্টা করছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, আমি খবর পাওয়ার প্রক্টরিয়াল টিমকে নিয়ে ঘটনাস্থলে চলে এসেছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরাও সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।