দু’হাজার আট সালে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল আট লাখ। বর্তমানে আট কোটি ৭৮ লাখে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বেড়েছে।
হিসাব অনুযায়ী দেশের মোট জনসংখ্যার ৫৫% ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। এর মধ্যে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করেন ৭.৫ কোটিরও বেশি গ্রাহক।
তবুও কেন ইন্টারনেটের দাম বেড়ে চলেছে
১৯৮৩ সালে ইন্টারনেটের উদ্ভব হয়। আজ জাতিসংঘ ঘোষিত ইন্টারনেট এখন মৌলিক অধিকার। শিক্ষা, চিকিৎসা, ব্যাংক অফিস আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনোদন, আন্তর্জাতিক লেনদেন অভ্যন্তরীণ লেনদেন এমনকি সংসারে কেনাকাটায় ইন্টারনেটের ব্যবহার হচ্ছে।
কম দামে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় এখনও অনেক পিছিয়ে বাংলাদেশ।
টেলি যোগাযোগ এবং প্রযুক্তির প্রতিমন্ত্রী প্রতিদিন বিভিন্ন সভা সেমিনারে বলেন ব্যান্ড উইথের দাম এখন পানির সমান। তাহলে মনে প্রশ্নের আসতে পারে যে তাহলে তো এক জিবি মোবাইল ইন্টারনেটের দাম হওয়ার কথা ২৪ পয়সা সেটা কেন আমি ৪০ টাকার ওপরে কিনছি। তাহলে কি অপারেটর আমাদের সব টাকা লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছে? সরকারের নিয়ন্ত্রণ কমিশনই বা কেন দাম ঠিক করে দিচ্ছে না? তার ওপর রয়েছে গ্রাহকদের ডাটা কেটে নেওয়া নির্দিষ্ট মেয়াদের পরে ডাটা থাকা সত্ত্বেও সেটি ব্যবহার করতে না পারাসহ নানা অভিযোগ।
গত ১০ বছরে প্রতি মেগা ব্যান্ডইউথে দাম কমেছে ৭১ হাজার ৩৭৫ টাকা। সেই তুলনায় ইন্টারনেটের দাম কি কমেছে?
ইন্টারনেট সেবা গ্রাহক পর্যায়ে পৌঁছানো পর্যন্ত বেশ কয়েকটি পক্ষ জড়িত। সেসব ক্ষেত্রে সরকার ভ্যাট আরোপ করায় সেবার দাম কমছে না। এ অবস্থায় ব্যান্ডউইথ ফ্রি করে দিলেও ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ কমবে না।’
ইন্টারনেট সেবা দিতে কত খরচ হয়, সে ব্যাপারে গবেষণা করেছে। সেই প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তথ্য মন্ত্রী মোস্তফা জব্বারআশ্বাস দিয়েছেন।