বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটে নাজেহাল জাপান

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটে নাজেহাল জাপান

আন্তর্জাতিক স্লাইড

নভেম্বর ১৬, ২০২২ ৮:১৬ পূর্বাহ্ণ

চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা ধাক্কা দিয়েছে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জাপানকেও। যার প্রভাবে চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে গতি হারিয়েছে দেশটি।

এরইমধ্যে ডলারের বিপরীতে দুর্বল হয়ে পড়েছে জাপানের মুদ্রা ইয়েন। আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে ব্যবসা পরিচালনার খরচ, যার মূল্য দিতে হচ্ছে দেশটির ভোক্তাদের। জীবন যাত্রার খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন জাপানের সাধারণ মানুষ।

সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, করোনা মহামারির প্রভাব ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে মন্দার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এরমধ্যে মূল্যস্ফীতির চাপে জাপানি মুদ্রার মান হ্রাস পাওয়ায় দেশটির পণ্য আমদানি আরো ব্যয়বহুল হয়েছে।

বিশ্বব্যাপী অর্থনীতির ধীরগতির কারণে চলতি বছর মার্কিন ডলারের বিপরীতে নিজস্ব মুদ্রা ইয়েনের দরপতন নিয়ে সংকটে পড়েছে জাপান। মূলত জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার নীতি সুদহারের পার্থক্যের কারণে জাপানি মুদ্রা ইয়েনের দরপতন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদেরা।

গত মাসে ডলারের বিপরীতে ইয়েনের যে দরপতন হয়, তা গত ৩২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এ কারণে তেল–খাদ্যসহ আমদানি করা সব ধরনের পণ্যের দাম অনেকটাই বেড়েছে। ফলে পরিবার থেকে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠা—সবারই খরচ বেড়েছে।

তবে অর্থনীতিবিদেরা আশা করছেন, বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জাপান সম্ভাব্য মন্দার শঙ্কা দ্রুত কাটিয়ে উঠবে। জাপানের অর্থনীতিবিদ ড্যারেন টে সম্প্রতি দেশটির বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে বলেছেন, ২০২২ সালের শেষ নাগাদ জাপান আবার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরে আসবে।

ড্যারেন টে আরো বলেন, জাপানের অভ্যন্তরীণ পর্যটন খাত আবার প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরেছে। পাশাপাশি বাণিজ্যেও ভারসাম্য আনার কাজ করছে দেশটি। এসবের মাধ্যমে সার্বিকভাবে অর্থনীতিতে গতি আসবে। তবে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি ও ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি প্রবৃদ্ধির হারে প্রভাব ফেলতে পারে।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে গত মার্চ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে নীতি সুদহার বাড়িয়ে চলেছে। ফলে বিনিয়োগকারীদের কাছে ডলার আরো আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। অন্যদিকে এ সময়ে জাপানের নীতি সুদহার প্রায় শূন্যের নিচেই ছিল। এর প্রভাব পড়ে আমদানি-রপ্তানিসহ অর্থনীতির সব খাতে।

পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইওয়াইয়ের গবেষক নোবুকো কোবায়াশি বলেছেন, ইয়েন দুর্বল হলেও জাপানের অর্থনীতির জন্য তা ভালো হতে পারে। কারণ, এতে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা জাপানে বিনিয়োগে আকৃষ্ট হতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *