বিপিএলের উইকেটে বিশ্বকাপের ছোঁয়া!

বিপিএলের উইকেটে বিশ্বকাপের ছোঁয়া!

খেলা

জানুয়ারি ৪, ২০২৪ ৯:৪৪ পূর্বাহ্ণ

বড় টুর্নামেন্টগুলোতে ভালো করতে না পারার পর ঘুরেফিরে আসে ঘরোয়া ক্রিকেটের উইকেট প্রসঙ্গ। ঘরের মাঠে কেমন উইকেটে খেলা হয় আর দেশের বাইরের গিয়ে কেমন উইকেটে খেলতে হয়, এ নিয়ে শুরু হয় গবেষণা। ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপে ব্যর্থ হওয়ার পরও উইকেট নিয়ে কথা উঠেছে।

এ বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে। বুধবার বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল আনাম জানালেন, বিশ্বকাপের মতো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) উইকেট তৈরি করা হবে।

মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিনি বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের খেলা। আমরা চাই বিপিএলে প্রচুর রান হোক। শুধু উইকেট হলে হবে না, ব্যাটারদেরও দক্ষতা থাকতে হবে। আমরা আগামী বিশ্বকাপকে সামনে রেখে কিছু পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছি। যে ধরনের উইকেট আইসিসি আন্তর্জাতিক ইভেন্টগুলোতে তৈরি করার চেষ্টা করে, আমরাও সেরকম করব।’

বিপিএলের প্রতি আসরের শুরুতে শীত ও কুয়াশার কারণে উইকেটে সেভাবে রান থাকে না। এবারও সেই শঙ্কা রয়েছে। মাহবুবুল আনাম বলেন, ‘আবহাওয়া একটা ব্যাপার। শৈত্যপ্রবাহ চলছে। তাতে হয়তো শুরুতে আমরা সমস্যার মুখোমুখি হব। আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে আগামী বিশ্বকাপের উইকেটের সঙ্গে মিল রেখে বানানো, যেন ক্রিকেটাররা প্রস্তুতি হিসাবে ব্যবহার করতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘গত বিপিএলেও আমরা ভালো উইকেট পেয়েছি। বেশ রান হয়েছিল। এটা সম্ভব। আমাদের কিউরেটরদের যে দক্ষতা, তাতে তাদের দিয়েই ভালো উইকেট তৈরি করা সম্ভব।’ বিপিএল শুরু হবে ১৯ জানুয়ারি। এবারও ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটÑএই তিন ভেন্যুতে টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে বাজে উইকেটের জন্য মিরপুর যে ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছে সেটা কাটানোর চেষ্টা করছে বিসিবি।

মাহবুবুল আনাম বলেন, ‘ডিমেরিট পয়েন্ট প্রত্যাহারের জন্য আমরা আপিল করব। সেটি এখন প্রক্রিয়াধীন। বোর্ডের প্রধান নির্বাহী এ বিষয়টি নিয়ে আইসিসির সঙ্গে কাজ করছেন। ডিমেরিট পয়েন্ট খুবই হতাশার। আবহাওয়া আমাদেরকে ভালো উইকেট তৈরি করতে দেয়নি। ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়ার পর যখন প্রমাণ হয় যে, অন্যান্য পরিস্থিতির কারণে উইকেট তৈরিতে বিঘ্নি ঘটেছে, তখন ডিমেরিট পয়েন্ট তুলে নেওয়া হয়।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *