সোহরাওয়ার্দী কলেজ প্রতিনিধি:
কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রসঙ্গে সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বিতর্কিত বক্তব্য ‘তাহলে কি রাজাকারের নাতিপুতিরা পাবে- কোটা আন্দোলনকারীদের প্রধানমন্ত্রী’ এর জবাবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা স্লোগান ধরে- তুমি কে? আমি কে? রাজাকার.. রাজাকার.. চাইতে গেলাম অধিকার হয়ে গেলাম রাজাকার।
এ প্রসঙ্গে গত ১৬ জুলাই সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মোহসিন কবীর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে একটি পোস্ট করেন। সেখানে লিখেন, ‘রাজাকাররা এতো দম্ভ পায় কোথায়! তোরা যারা রাজাকার এই মুহুর্তে বাংলা ছাড়।’ সে পোস্টটিকে ঘিরে তখন থেকেই শুরু হয় বির্তক।
“বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের” গত (৫ আগস্ট) সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে গেলে সেদিনই অধ্যক্ষ নিজের ফেইসবুক টাইমলাইন থেকে সরিয়ে নেয় সেই বির্তকিত পোস্টটি। সেই সাথে গত ১৮ জুলাইয়ের পর থেকে দেওয়া সমস্ত ফেইসবুক পোস্ট ডিলিট করে দেয়।
বুধবার (৭ আগস্ট) ছাত্রসংসদে “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের” সোহরাওয়ার্দী কলেজের সমন্বয়ক কাউসার আলী প্রাথমিকভাবে ৮ দফা দাবি তুলে ধরেন।এ দাবিগুলোর একটি ছিল শিক্ষক ও স্টাফ কোন ধরনের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকতে পারবে না এবং আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কটাক্ষ করবার জন্য অধ্যক্ষকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। এছাড়াও তারা আরও উল্লেখ করেন কলেজ প্রশাসনকে সংস্কার করতে হবে। শিক্ষার্থী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে এমন প্রশাসনকে দায়িত্ব দিতে হবে।
বিতর্কিত ফেইসবুক পোস্ট নিয়ে অধ্যক্ষ বলেন, আমি আসলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী তাই রাজাকার শব্দটি শুনে তাৎক্ষণিকভাবে কেমন যেন লেগছে! আমি না শুধু অনেকেরই এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। আমার এই ফেইসবুক পোস্টটিতে যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন তবে দুঃখপ্রকাশ করছি।