বাংলাদেশ ও চীন আজ বেইজিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) এর আওতায় এই অঞ্চলে সংযোগ স্থাপনে অবদান রাখার বিষয়ে আলোচনা করেছে। দুই দেশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ঢাকায় ১২তম ফরেন অফিস কনসালটেশনে (এফওসি) একত্রিত হয়ে এই আলোচনা করেন।
দুই পক্ষ চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের পৃষ্ঠপোষকতায় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক সংযোগে অবদান রাখতেও আগ্রহ দেখিয়েছে। শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং চীনের পররাষ্ট্র বিষয়ক ভাইস-মিনিস্টার সান ওয়েইডং রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মা’য় এফওসি-তে নিজ নিজ পক্ষের নেতৃত্ব দেন।
এ সময় বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয় ছাড়াও উভয় পক্ষ রোহিঙ্গা সংকটসহ অন্যান্য বহুপাক্ষিক ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।
চীনা পক্ষ বাংলাদেশ থেকে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের দ্রুত, নিরাপদ, স্থায়ী ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে। চীনা ভাইস-মিনিস্টার উল্লেখ করেন, দ্রুত প্রত্যাবাসন বাংলাদেশ, মিয়ানমার এবং সমগ্র অঞ্চলের জন্য মঙ্গলজনক হবে।
পাইলট প্রকল্পের প্রথম ব্যাচের প্রত্যাবাসনের সুবিধার্থে চীনের পক্ষ মিয়ানমারে ‘গো অ্যান্ড সি’ সফর এবং বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের নিজ নিজ প্রতিনিধিদের বাংলাদেশে ‘কাম অ্যান্ড টক’ সফরের ব্যবস্থা করার জন্য বাংলাদেশের উদ্যোগের প্রশংসা করেছে।