বাইডেনের বাড়ি থেকে উদ্ধার নথি তদন্তে বিশেষ কাউন্সিল

বাইডেনের বাড়ি থেকে উদ্ধার নথি তদন্তে বিশেষ কাউন্সিল

আন্তর্জাতিক

জানুয়ারি ১৩, ২০২৩ ১০:০৭ পূর্বাহ্ণ

এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ নথি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

এসব নথি তদন্ত করতে বিশেষ কাউন্সিল গঠন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গার্লেন্ড।

সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলের বিচার বিভাগের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রবার্ট হুরকে এ তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে। খবর বিবিসির।

এ ব্যাপারে হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাইডেন এ বিষয়ে তদন্ত কমিটিকে পুরোপুরি সহায়তা করবেন।

এর আগে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিলাসবহুল বাড়ি থেকে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ গোপন নথি উদ্ধারের পর ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়। এ নিয়ে চলছে ফেডারেল তদন্ত। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকেও রাষ্ট্রীয় নথি নিয়ে পড়তে হলো বেকায়দায়।

বাইডেন ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন কিছু গোপনীয় নথি পাওয়া গেছে তার ব্যক্তিগত অফিসে। দুই দফায় উদ্ধার হয়েছে এসব নথি। প্রথম দফায় নথি উদ্ধারের খবরে বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।

এই ঘটনা হোয়াইট হাউজকে রাজনৈতিক লজ্জায় ফেলেছে। এই ঘটনা ও প্রাপ্ত নথিগুলো খতিয়ে দেখছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার মন্ত্রণালয়। দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন গোপনীয় নথি সুরক্ষিত রাখার আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি সে সময় বাইডেনের কার্যালয় থেকে পুরনো নথি পাওয়ার এ ঘটনা ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাট পার্টির কর্মী-সমর্থকদের অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে।

হোয়াইট হাউজের কাছে অবস্থিত থিঙ্কট্যাঙ্ক পেন বাইডেন সেন্টার থেকে গত বছরের ২ নভেম্বরে ১০টির মতো গোপন নথি পাওয়া গেলেও ওই উদ্ধারের ঘটনা চলতি সপ্তাহে জানাজানি হয়।

ওই নথিগুলোতে ইউক্রেন, ইরান ও যুক্তরাজ্য সংক্রান্ত গোয়েন্দা তথ্য ও ব্রিফিং ছিল বলে জানা গেছে। হোয়াইট হাউজ এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় দফায় পাওয়া গোপন নথির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

তবে, অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গার্লেন্ড বৃহস্পতিবার জানান, দ্বিতীয় দফায় গত বছরের ২০ ডিসেম্বর দেলাওয়ারের ইউলমিংটনে বাইডেনের বাড়ি থেকে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করা হয়।

এমন এক সময়ে হোয়াইট হাউজ এ বিতর্কে জড়াল যখন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের দখল রিপাবলিকানদের হাতে।

প্রেসিডেন্ট এখন আর আগের মতো চাপমুক্ত থাকতে পারছেন না। ইতিমধ্যে বাইডেনের পদক্ষেপ ও তার পরিবারের তৎপরতা নিয়ে তদারকি শুরু করেছে প্রতিনিধি পরিষদের ওভারসাইট কমিটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *