ববিতে সন্ত্রাসী হামলায় আহত শিক্ষার্থী কতৃক উপাচার্য ও প্রক্টর বরাবর অভিযোগ পত্র দায়ের

দেশজুড়ে

আগস্ট ৯, ২০২৩ ৬:০২ অপরাহ্ণ

ববি প্রতিনিধি

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) শনিবার (৫ আগস্ট) ছাত্রলীগের দু’ গ্রুপের সংঘর্ষে মো. আয়াত উল্লাহ নামে এক শিক্ষার্থীর বাম পায়ের রগ কাটার ঘটনা ঘটে। আহত আয়াত মার্কেটিং বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে করে কঠোর নিরাপত্তায় এ সংবাদ সম্মেলনে যোগ দিতে দেখা যায় তাকে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টর বরাবর দুটি অভিযোগপত্র দায়ের করেন।

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের মোট ১২ জন আহত হন। এদের একপক্ষের নেতৃত্বে আছেন প্রতিমন্ত্রী কর্নেল জাহিদ ফারুখের অনুসারী রক্তিম -বাকি গ্রুপ। অপর গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন শান্ত-রুমি-তমাল। এরা নিজেদের বর্তমান মেয়র খোকন সেরনিয়াবাতের অনুসারী বলে দাবি করছেন।

এ ঘটনায় উপাচার্য ড. ছাদেকুল আরেফিনের নির্দেশে রোববার (৬ আগস্ট) ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। জানা যায়, নৃশংস হামলার শিকার মো. আয়াত উল্লাহ রক্তিম -বাকি গ্রুপের অনুসারী।

এ ঘটনায় উপাচার্য ড. ছাদেকুল আরেফিনের নির্দেশে রোববার (৬ আগস্ট) ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

আহত আয়াত উল্লাহ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে জানান, হামলার দিন রাত ১১টার দিকে আমি জানতে পারি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে হেলমেট পরিহিত ৩৫-৪০ জন সন্ত্রাসী রামদা, চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল, কিরিচ নিয়ে হামলা চালিয়েছে। আমাদের সহপাঠীদের কুপিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ফেলে রাখা হয়েছে। তখন খবর পেয়ে আমরা তাদের উদ্ধার করতে হলের দিকে যাত্রা করি। যাত্রাপথে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সামনে সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এ সময় তারা আমাকে রামদা দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করতে থাকে।

হামলাকারীদের মধ্যে তিনি চারজনকে চিনতে পারেন বলে জানান সংবাদ সম্মেলনে। তিনি জানান হামলাকারীরা হলেন- তানজিদ মঞ্জু (ইংরেজি বিভাগ- ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ), রায়হান ইসলাম (গণিত বিভাগ- ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ), মোবাশ্বির রিদম (গণিত বিভাগ- ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষ), শরীফুল ইসলাম ( অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগ- ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ)।

আয়াত উল্লাহ অভিযোগ করেন, হামলার সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও তারা চিকিৎসার ব্যবস্থার কোনো প্রয়োজন অনুভব করেনি। এমনকি তারা অ্যাম্বুলেন্স পর্যন্ত পাঠাতে পারেনি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে আজীবন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার এবং গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দেন। অন্যথায় আগামীকাল থেকে আমরণ অনশনে বসার কথা জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *