বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রধানমন্ত্রীর শুভ জন্মদিন উদযাপন

জাতীয়

নভেম্বর ৭, ২০২২ ১১:৪৭ পূর্বাহ্ণ

এ আর রাজ

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব সেরা উন্নত -সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার রূপকার। মাদার অব হিউম্যানিটি’ বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ৭৬ তম জন্মদিন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ২৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যেগে কেক কাটা,দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডাঃ আব্দুস সালাম, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওসার, সাবেক ছাত্রনেতা, সাবেক সভাপতি বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ, মহাসচিব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আ্যলমনাই এসোসিয়েশন।
উক্ত সভা চলাকালীন সুদুর আমেরিকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী সভাপতি আ্যডভোকেট ড. মশিউর মালেক এবং যুগ্ম সম্পাদক শহিদুল্লাহ্ ওসমানী বক্তব্য রাখেন। বলাবাহুল্য প্রধানমন্ত্রী সাথে রাষ্ট্রীয়সফরে অংশগ্রহণ করেছেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী সভাপতি এবং যুগ্ম সম্পাদক।সভার শুরুতে ফুল দিয়ে ভরণ করেন প্রধান অতিথি মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওসার, ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী সভাপতি ডাঃ আব্দুস সালাম, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রাশেদা হক কনিকা, ক্রীড়া সম্পাদক টিপু সুলতান ভাইকে। বক্তব্য শেষে বাংলাদেশে স্বপ্ন সারথি দেশরত্ন শেখ হাসিনার জন্য দোয়া ও মোনাজাত করা হয়, তারপরে জন্মদিনের কেক কাটা হয়।

সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন রাশেদা হক কনিকা ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক, বিশেষ বক্তা ছিলেন আ্যডভোকেট মনিরুল জামান শ্বাশত মনির, শীর্ষখবর এর সম্পাদক, আলোচক ছিলেন সহ-সভাপতি আ্যডভোকেট আব্দুল খালেক মিয়া,দেলোয়ার হোসেন, কাজী মফিজুল হক,সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আমিন শাহিন, বাসেত শেমন আল আমিন,মহানগরের সহ-সভাপতি শেখ জালাল ধানমন্ডি থানার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান, আজীবন সদস্য আহসান সামাদ, সৈয়দ আইনুল হক,শেখ লাকি প্রমূখ।
প্রধান অতিথি শেখ হাসিনার বণার্ঢ্য রাজনৌতিক জীবন বিশ্লেষণ করেন। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেয়ায় বিশ্বের কাছে প্রশংসিত হয়েছে বাংলাদেশ। সেইজন্য ব্রিটিশ মিডিয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’(মানবতার জননী) বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। বর্তমানে জাতিসংঘ কতৃক বিশ্বের সেরা প্রধানমন্ত্রী ভূষিত হলেন। এটা বাঙালি জাতির জন্য অনেকবড় অর্জন। তিনি উল্লেখ করেন।
ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন আজ সুদুর প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিকাশের মাধ্যমে আমাদের মেহনতি কৃষকের হাতে দ্রুত টাকা চলে যায়। শেখ হাসিনা হতদরিদ্র কৃষক আর শিশুদের লেখাপড়া সুবন্দোবস্ত করে দিয়েছেন প্রযুক্তির উন্নয়ন করে।এখন আর কোনো পিতামাতা ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া নিয়ে চিন্তা করেন না,বিকাশের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে থেকে উপবৃত্তি পাচ্ছে প্রতিটি শিশু।
ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শেখ হাসিনা সংগ্রামী জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, বাঙালির বিশ্বজয়ের স্বপ্নসারতি শেখ হাসিনা।এই শিক্ষাটা তিনি ঘর থেকেই অর্জন করেছেন। পিতার রেখে যাওয়া স্বপ্নপূরণের তিনি বদ্ধপরিকর। তাই প্রতিটি স্বপ্নই আজ বাস্তবায়নের পরিণত হয়েছে।পিতার রেখেযাওয়া পথেই তিনি হাঁটছেন।
জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন সংগ্রাম করেছিলেন চিহ্নিত প্রতিপক্ষ বিদেশী শক্তির বিরুদ্ধে। তার মহান হৃদয়ে কখনও স্থান পায়নি ঘরের শত্রুর অস্তিত্ব। বাঙালীর প্রতি তার অগাধ আস্থার ফাঁক গলিয়ে ছোবল দিয়েছে বিশ্বাস ঘাতক চক্র। তাঁর কন্যা শেখ হাসিনাকে সংগ্রাম করতে হচ্ছে সেসব বর্ণচোরা দেশীয় শক্তি এবং ঘাতকদের বিরুদ্ধে। ষড়যন্ত্রকারীদের বুলেট, গ্রেনেডের স্পিন্টার তাঁকে বারবার তাড়া করে ফিরছে প্রতিনিয়ত। তবুও তিনি স্বাভাবিক থেমে নেই বাঙালিজাতির ভাগ্যপরিবর্তনের জন্য দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন । ‘জন্মালে মরতে হবে’ এই সত্যেও বলিয়ান বাংলার ভাগ্য বদলানোর পথিকৃৎ শেখ হাসিনা এগিয়ে চলেছেন তার আপন গতিতে। বাঙালী জাতির ভবিষ্যত সমৃদ্ধির জন্য তার এই পথচলা দীর্ঘায়িত হোক, জন্মদিনে এই প্রত্যাশা। 
বিশেষ বক্ত্য বলেন এতো এতো উন্নয়ন হচ্ছে কিন্তু সেই’ই উন্নয়ন নাকি কারো চোখে পড়ছে না।কিন্তু তারাই ক্ষমতায় থাকাকালীন দেশকে দেউলিয়া করে রেখে গেছেন। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ দুর্নীতির আখড়া হয়েছিল তৎকালীন সরকারের সময়।সেই তলাবিহিন অকার্যকর রাষ্ট্রকে আজ উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে বিশ্বের বুকে রোলমডেল হয়েছে জাতিরপিতার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা।
সভায় সঞ্চালন করেন সংগঠনের ক্রীড়া সম্পাদক টিপু সুলতান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *