ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট চালের দাম বেঁধে দিলেন

ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট চালের দাম বেঁধে দিলেন

আন্তর্জাতিক

সেপ্টেম্বর ২, ২০২৩ ১১:৩৮ পূর্বাহ্ণ

ফিলিপাইনে দেড় বছর ধরে চালসহ বিভিন্ন মৌলিক পণ্যের ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধি ঘটছে। এবার সিন্ডিকেট ও মূল্যবৃদ্ধির লাগাম টানতে চালের একটি নির্দিষ্ট দাম বেঁধে দিয়েছেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ রোমুয়াল্ডেজ মার্কোস জুনিয়র। নির্দিষ্ট দামে চাল বিক্রির একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন প্রেসিডেন্ট। নির্বাহী আদেশে সাধারণ মিলের চালের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪১ ফিলিপিনো পেসো, আর তুলনামূলক উন্নতমানের মিলের চালের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৫ পেসো। দ্য ফিলিপাইন স্টার।

প্রেসিডেন্ট কার্যায়ের বরাতে শুক্রবার এএফপির খবরে বলা হয়েছে, মূলত মজুদ ও ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট গড়ে অবৈধভাবে চালের মূল্য বাড়ানো, কম ফলন এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও ভারতের চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার কারণে চালের এই দাম বাড়ানো হয়েছে।

শুল্ক কর্তৃপক্ষকে মজুদ ও অবৈধ আমদানি রোধে চালের গুদাম পরিদর্শন জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ও কৃষিমন্ত্রী। এছাড়া বাজারে প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্টেল ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রতিযোগিতা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাকে।

ফিলিপাইনের কৃষি বিভাগের (ডিএ) ডেপুটি মুখপাত্র রেক্স এস্টোপেরেজ বলেন, চালের দামে হেরফের অথবা মজুদ করার তদন্ত করছে সরকার। দাম স্থিতিশীল করার জন্য নজরদারি ও বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। যদি এখনই চালের দাম প্রতি কিলোতে ৫৬ পেসো হয় তাহলে তা ঠিক নয়। ডিডব্লিউপিএম রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এস্টোপেরেজ বলেন, কেউ কেউ বলছে চাল মজুদ আছে। আর তার তদন্ত করাই হবে আমাদের মূল ফোকাস।

ফিলিপাইনের জাতীয় অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মতে, দেশে চালের মূল্যস্ফীতির হার ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ছিল ১ শতাংশ। সেখান থেকে বেড়ে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে এই মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ২ শতাংশে। ঐতিহাসিকভাবেই দেশটিতে চালের দামের এই উঠানামা রয়েছে। প্রতিবার চালের দাম বাড়লেই দেওয়া হয় চালের কার্টেল, ধানের কীটপতঙ্গ, টাইফুন ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের একই সমস্যার কারণে মজুদ কমে যাওয়ার মতো অজুহাত। ১৯০২ সালে সিন্ডিকেটের কারণে চালের দাম বেড়ে গিয়েছিল। তাই দাম কমাতে কৃষক ও আমদানিকারকদের জন্য ভর্তুকির ব্যবস্থা করেছিল সরকার। ১৯১৮ সালে চালের দাম বাড়লে ফিলিপাইনে চালের ওপর আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছিল।  আমদানি করা এসব চাল কোন দামে বিক্রি হবে তা-ও ঠিক করে দেওয়া হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *