প্রিয়নবী (সা.) কি কখনো হাস্য-রসিকতা করতেন?

ধর্ম

আগস্ট ২৮, ২০২২ ৮:৪৩ পূর্বাহ্ণ

প্রিয়নবী হজরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গোটা মানবজাতির জন্য এক অনুসরণীয় জীবনাদর্শ। তিনি ছিলেন আরবের সবচেয়ে সুন্দর বাচনভঙ্গির অধিকারী। তিনি সবসময় মুচকি হাসি দিয়ে কথা বলতেন।

সাহাবায়ে কেরামগণের সঙ্গে মুচকি হাসিতে হুদয়ের গভীরে আসন করে নিতেন। এমনকি তিনি তাদের সঙ্গে অকৃত্রিম রসিকতাও করতেন। তবে তিনি এক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রাখতেন এবং সীমার মধ্যে থাকতেন।

একবার প্রিয়নবী হজরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী হযরত আয়েশা (রা.) কে প্রশ্ন করা হলো যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি কখনো হাস্য-রসিকতা করতেন? মা আয়েশা (রা.) উত্তর দিলেন, ‘ হ্যাঁ, করতেন তবে যত্রতত্র নয়। স্থান-কাল- পাত্র ও সম্বোর্ধিত ব্যক্তিটির যোগ্যতানুসারে করতেন।’

হযরত আনাস (রা.) এর বর্ণনায় পাওয়া যায়, একবার জনৈক ব্যক্তি মহানবী (সা.) এর কাছে এসে সওয়ার উপযোগী একটা উটের জন্য আবেদন করলো। রাসুল (সা.)  বললেন, আমি তোমাকে উটের একটা বাচ্চা দান করবো। লোকটি হতাশ হয়ে বললো, হুজুর, আমি উটের বাচ্চা নিয়ে কী করবো? প্রিয়নবী হজরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তর দিলেন, প্রত্যেক উটই কোন না কোন উটনীর বাচ্চা হয়ে থাকে। (শামায়েলে তিরিমিজি-১৭৭)

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন সাহাবীদের সঙ্গে বসে খেজুর খাচ্ছিলেন। হযরত আলীও ওই মজলিশে বসে খেজুর খাচ্ছিলেন। হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও ক’জন সাহাবী খেজুরের বীচি গুলো হযরত আলী (রা.) এর সামনে রেখে দিচ্ছেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রসিকতা করে বললেন, বীচি দেখে অনুমান করা যায়, কে সবচেয়ে বেশি খেজুর খেয়েছে। তখন হযরত আলী (রা.) হেসে বললেন, এতে এটাও অনুমান করা যায় কোন মানুষটি বীচি বাদ দিয়ে খেজুর খেয়েছে আর কোন মানুষটি বীচিসহ খেজুর খেয়েছে। (তিরমিজি, আবু দাউদ)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *