পুরুষের জন্য সোনার চেইন, ঘড়ি, আংটি, বোতাম, কলম ইত্যাদি ব্যবহার বৈধ নয়। তবে নারীদের জন্য স্বর্ণ-রোপা সবই বৈধ।
পুরুষের স্বর্ণ ব্যবহার নিয়ে হাদীসে এসেছে, আবূ মূসা আল আশ্’আরী (রা.) হতে বর্ণিত। নবী ( সা.) বলেছেন, স্বর্ণ ও রেশমের ব্যবহার আমার উম্মাতের নারীদের জন্য হালাল এবং পুরুষদের জন্য হারাম করা হয়েছে। (তিরমিযী, নাসাঈ, মিশকাত ৪৩৪১ নং)
ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত, হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) প্রতিদিন লোকের হাতে একটি সোনার আংটি লক্ষ্য করে সেটি খুলে ফেলে দিলেন এবং বললেন, তোমাদের মাঝে কেউ কেউ আগুনের টুকরা জোগাড় করে তার হাতে রাখে। রাসূলুল্লাহ (সা.) সে স্থান ত্যাগ করলে ব্যক্তিটিকে বলা হলো, তোমার আংটিটি উঠিয়ে নাও। এটি দিয়ে উপকার হাসিল করো। সে বলল, না। আল্লাহর কসম! আমি কখনো ওটা নেব না। কারণ রাসূলুল্লাহ (সা.) তো ওটা ফেলে দিয়েছেন। (মুসলিম ২০৯০ নং)
প্রকাশ থাকে যে, ব্যতিক্রমভাবে পুরুষের জন্য সোনার নাক বাঁধার অনুমতি রয়েছে ইসলামে।’আবদুর রহমান ইবনু ত্বরাফাহ্ (রহঃ) হতে বর্ণিত, কুলাবের যুদ্ধে তার দাদা’ আরফাজাহ্ ইবনু আস’আদ-এর নাক কাটা গিয়েছিল। তিনি রূপার দ্বারা একটি নাক তৈরি করেছিলেন। ফলে তাতে দুর্গন্ধ দেখা দিলো। অতঃপর নবী (সা.) তাকে স্বর্ণের নাক তৈরি করতে নির্দেশ করলেন। (আহমাদ ১৮৫২৭, আবূ দাঊদ ৪২৩২, তিরমিযী ১৭৭০, নাসাঈ ৫১৬১ নং)
প্রয়োজনে সোনার তার দিয়ে দাঁত বাঁধতে অথবা সোনার দাঁত বাঁধিয়ে ব্যবহার করাতেও অনুমতি আছে শরীয়তে। পক্ষান্তরে চার আনা সোনার আংটি ব্যবহারের বৈধতা শরীয়তে নেই। বিপদ প্রয়োজনে যে কোনো স্বর্ণটুকরা হাতে না রেখে সঙ্গেও তো রাখা যায়। প্রকাশ থাকে যে, সোনা দিয়ে পালিশ করা জিনিসেও যেহেতু সোনা থাকে, সেহেতু টা পুরুষের জন্য ব্যবহার বৈধ নয়। (ইবনে জিবরীন)