নোয়াখালীর ইলিশ বিক্রয়তা বঙ্গোপসাগরে পেলেন ৯৬ মন ইলিশ মাছ

দেশজুড়ে

আগস্ট ১৫, ২০২৩ ৫:৪০ অপরাহ্ণ

রিপন মজুমদার নোয়াখালী প্রতিনিধি

কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ৯৬ মণ ইলিশ। পায়রা সমুদ্রবন্দরের শেষ বয়ার সীমানায় জাল ফেলে রোববার বিকেলে তিনি এই মাছ পান।
ওই জেলের নাম মো. মিজান। তার বাড়ি নোয়াখালী জেলায়। তিনি নোয়াখালী এলাকার এফবি ভাই ভাই ট্রলারের মালিক। সোমবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে মাছ নিয়ে তিনি পটুয়াখালীর মহিপুর মৎস্য বন্দরে ফিরে আসেন। বিকেলে ওই মৎস্য বন্দরের ফয়সাল ফিস নামের একটি আড়তে ৩৯ লাখ ৭০ হাজার টাকায় এই ইলিশ বিক্রি করেন। মিজান বলেন, ‘মাছ পাইমু আই চিন্তাও হরি নাই। ধার-দেনায় আই জর্জরিত হইয়া গেছি। মাছ বিক্রি করি যে-ই টেহা হাইছি, হেগুন দি আই দেনা শোধ করি দিমু।’

সাগর থেকে ফিরে আসা এফবি মরিয়ম ট্রলারের মাঝি আব্দুল মান্নান বলেন, ‘৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা ওডার পর পরই আবহাওয়া খারাপ হইয়া যায়। এইতে অনেক জাইল্যাই সাগরে মাছ ধরতে যাইতে পারে নাই। যারা ছিল হেরাও সাগরের গোনে ফির‍্যা আইছে। আবহাওয়া ভালো হওয়ায় জাইল্যারা সাগরে যাওয়া শুরু করেন এবং জাইল্যাগো জালে ইলিশ ধরা পড়ছে। কেউ ১০ মণ, কেউ ১২ মণ কইর‍্যা ইলিশ পাইছে। এই তো মিজানের জালে ৯৬ মণ ইলিশ ধরা পড়লো। সামনে মাছ আরও বেশি পড়বে বইল্যা মোনে হইতেছে।’

মহিপুর মৎস্য আড়ত মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি ও ফয়সাল ফিসের মালিক মো. ফজলুর রহমান গাজী জানান, গত পাঁচ দিন আগে নিজের ট্রলার নিয়ে নোয়াখালীর সামরাজ থেকে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যান জেলে মিজান। পায়রা বন্দরের শেষ বয়ার সীমানায় জাল ফেলেন তিনি। রোববার জাল তোলার পর ৯৬ মণ ইলিশ পান। চলতি মৌসুমে এটাই সবচেয়ে বড় সাফল্য। এ পর্যন্ত যারা সাগরে মাছ ধরতে গেছেন তাঁদের মধ্যে মিজানই সবচেয়ে বেশি মাছ পেয়েছেন।

পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম জানান, জেলেদের জালে এখন প্রতিদিনই প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। রোববার ও সোমবার যেসব জেলেরা সাগর থেকে মৎস্য বন্দরে এসেছে তারা সবাই প্রচুর ইলিশ নিয়ে ফিরেছেন। সামনের দিনগুলোতে আরও ইলিশ ধরা পরবে বলে আশা রাখি। এটা ৬৫ দিনের মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞার সুফল।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *