নোয়াখালীতে শহীদ পুলিশ সুপার আবদুল হাকীম শিক্ষা বৃত্তি প্রদান

শিক্ষা

ডিসেম্বর ১৫, ২০২৩ ৪:২৩ অপরাহ্ণ

রিপন মজুমদার নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

নোয়াখালীতে শহীদ পুলিশ সুপার আবদুল হাকীম শিক্ষা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে বৃত্তিপ্রাপ্ত ৫০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে চেক, সার্টিফিকেট ও পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে পুলিশ কেজি স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গণে বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

পুলিশ কেজি স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মো. রহমত উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম। এসময় পুলিশ কেজি স্কুল ও কলেজের কোঅর্ডিনেটর সীমা পরভীন নিশি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) বিজয়া সেন, পুলিশ কেজি স্কুল ও কলেজের এডজুটেন্ট অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মোর্তাহীন বিল্লাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) মো. নাজমুল হাসান রাজিব, সহকারী পুলিশ সুপার (হাতিয়া সার্কেল) মো. আমান উল্যাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী সারিক হাসিন অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, আমাদের জন্য আজকে আনন্দের দিন। প্রায় দুই হাজার অংশগ্রহণ কারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে আমরা ৫০ জন বৃত্তি পেয়েছি। যার অনুভূতি প্রকাশ করে শেষ করা যাবে না। আমি আয়োজক ও সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে অভিভাবক সাংবাদিক আবু নাছের মঞ্জু বলেন, শহীদ পুলিশ সুপার আবদুল হাকীম শিক্ষা বৃত্তি পরীক্ষা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ পুলিশ সুপার আবদুল হাকীম নোয়াখালীর পুলিশ সুপার ছিলেন। তিনি তখন অস্ত্রাগার খুলে দিয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের। পরবর্তীতে তাকে সপরিবারে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে হত্যা করা হয়। এমন মহান মানুষের নামে শিক্ষাবৃত্তি সত্যিই তাৎপর্যপূর্ণ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন,১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অসংখ্য গুণীজনের আত্মত্যাগ ও সাহসিকতার ইতিবৃত্ত রয়েছে। এমনই একজন মহান ও চির অবিনশ্বর ব্যক্তি শহীদ পুলিশ সুপার আবদুল হাকীম। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তিনি নোয়াখালী জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২৫শে মার্চ কালো রাতে পাক হানাদার বাহিনীর ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হলে তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে অস্ত্রাগার থেকে নিজ হাতে অস্ত্র তুলে দেন। পাক হানাদার বাহিনী বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ সুপার আবদুল হাকীমকে ১৯৭১ সালের ৯ই মে তাঁর নিজ কর্মস্থল থেকে স্বপরিবারে নিয়ে যায় এবং নির্মমভাবে সকলকে হত্যা করে। এই দেশপ্রেমিক মহান বীরের স্মৃতিকে চির স্মরণীয় করে রাখার জন্য এবং তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শনের জন্য এই শিক্ষা বৃত্তির প্রবর্তন করেছি।

আলোচনা সভা শেষে বৃত্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে চেক, সার্টিফিকেটসহ পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এসময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থী, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ জেলা কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *