উম্মুক্ত ধলেশ্বররী এখন প্রভাবশালীদের দখলে

দেশজুড়ে

নভেম্বর ২৬, ২০২২ ৯:৪৯ পূর্বাহ্ণ

মোঃ আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ

নদী মাতৃক বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান অঞ্চল
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা। নাসিরনগরে অসংখ্য নদনদী খাল বিল ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। নাসিরনগরে ছোট নদীর পাশাপাশি মেঘনা ও ধলেশ্বরীর মত দুটি বড় নদীও রয়েছে।উপজেলার ভাটির রানী নামে খ্যাত চাতলপাড়,গোয়ালনগর ইউনিয়নের পশ্চিম দিয়ে বয়ে যাওয়া উন্মোক্ত ধলেশ্বরী নদীটি এখন প্রভাবশালীদের দখলে বলে অভিযোগও রয়েছে।প্রভাবশালীরা উক্ত নদীতে বাঁশ কাটা ফেলে মাছ ধরার ফাঁদ তৈরী করে সরকার কে কোনরূপ খাজনা না দিয়ে প্রতি বছর এ নদী থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ ধরে নিয়ে বিক্রি করছে। অথচ নদীটি স্থানীয় জেলেদের বিনা খাজনা ভোগদখলের কথা রয়েছে।আর এ সমস্ত বাঁশ কাটা ফেলে মাছ ধরার ফাঁদ তৈরী করার কারনে দিন দিন নদীর নাব্যতা হারিয়ে যাচ্ছে।নদী ভরাট হয়ে চড়ে রূপান্তরিত হতে চলেছে।
সরেজমিন এলাকা গেলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানায়,ধলেশ্বরী নদীতে এলাকার স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালীর মাঝে দুদু মিয়ার ছেলে ইউনুছ মিয়া,হাজী গিয়াস মিয়ার ছেল মেন্দি আলী, আবু মিয়ার ছেলে মোঃ গিয়াস মিয়া,গিয়াস মিয়ার আরো এক ছেলে দীন ইসলাম,আব্দুল খালেকের ছেলে কামাল মিয়া,সফর আলীর ছেলে জালাল মিয়া আক্কল আলীর ছেলে হাছন আলী সহ আরো অনেকেই।

নদীর অবৈধ দখলকার মেন্দি আলী মিয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তার বাঁশ কাটা দিয়ে নদীতে মাছ ধরার ফাঁদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অকপটে স্বীকার করে বলেন যে এ সমস্ত কারনে নদীতে সমস্যা হচ্ছে ঠিকই।উন্মুক্ত নদীতে কোন লীজ না নিয়ে বা সরকারকে কোন খাজনা না দিয়ে কিভাবে আপনারা মাছ ধরছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন,সরকার উন্মুক্ত করে করে দিয়েছে তাই আমরা মাছ ধরছি।

এ বিষয় মুঠো ফোনে গোয়ালনগর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃআজহারুল হকের সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি খু্বই দুঃখ জনক।সাধারণ জনগণ তাদের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।তিনি আরো বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য আমি স্থানীয় ভুমি সহকারী কর্মকর্তাকে বলেছি।

এ বিষয়ে গোয়াল নগর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ নুরুল আমিনের সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এ বিষয়ে আমি কয়েকবার তাদের ওর্য়ানিং দিয়েছি কোন কাজ হয়নি।একমাত্র মোবাইল কোর্ট করা ছাড়া এ সব সম্ভব নয়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *