দেশের প্রথম ভাসমান টার্মিনাল থেকে জ্বালানি তেল খালাস শুরু

দেশের প্রথম ভাসমান টার্মিনাল থেকে জ্বালানি তেল খালাস শুরু

অর্থনীতি স্লাইড

জুলাই ৩, ২০২৩ ৯:৪২ পূর্বাহ্ণ

সাগরের তলদেশে পাইপলাইনের মাধ্যমে দেশের প্রথম ভাসমান টার্মিনাল থেকে জ্বালানি তেল খালাস শুরু হয়েছে। রোববার ৮২ হাজার টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল নিয়ে সৌদি আরব থেকে আসা এমটি হোরাই জাহাজ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে এ তেল খালাস কার্যক্রম শুরু হয়।

জাহাজটি বঙ্গোপসাগরে সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিংয়ে (ভাসমান জেটি) নোঙর করে সেখান থেকে সাগরের তলদেশ দিয়ে ১১০ কিলোমিটার লম্বা পাইপলাইনের মাধ্যমে মহেশখালী ও আনোয়ারা হয়ে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় জ্বালানি তেল শোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারিতে নেয়া হবে এ তেল। বাংলাদেশ ও চীন সরকারের মধ্যে জিটুজি ভিত্তিতে ৭ হাজার ১২৫ কোটি টাকায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড।

কর্ণফুলী নদীতে তেল খালাসের বিশেষায়িত জেটিতে বড় ট্যাংকার ভিড়তে না পারায় জ্বালানি তেল নিয়ে আসা বড় ট্যাংকারগুলো সনাতন পদ্ধতিতে প্রথমে সাগরে নোঙর করে রাখা হতো। এরপর ছোট ট্যাংকারের মাধ্যমে তেল স্থানান্তর করে জেটিতে এনে পাইপের মাধ্যমে খালাস করা হতো। এতে এক লাখ টন তেলবাহী একটি ট্যাংকার থেকে তেল খালাসে ১০ দিন বা তারও বেশি সময় লাগতো।

তেল খালাসে খরচ ও সময় বাঁচাতে ২০১৫ সালে ‘সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং’ নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। নতুন প্রকল্পের আওতায় পাইপলাইনের মাধ্যমে মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় প্রায় এক লাখ টন জ্বালানি তেল খালাস সম্ভব হবে।

জ্বালানি তেল খালাসের জন্য ভাসমান জেটিতে ট্যাংকার ভেড়ানো, টাগবোটসহ যাবতীয় সহায়তা দিচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল বলেন, প্রকল্পটির আওতায় ১১০ কিলোমিটার লম্বা দুটি সমান্তরাল পাইপলাইন বসানো হয়েছে। একটি পাইপলাইন দিয়ে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল খালাস শুরু করা হলো। অন্য পাইপলাইন দিয়ে শিগগিরই পরিশোধিত ডিজেল খালাস শুরু হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *