জানুয়ারি ২১, ২০২৩ ৯:৪৮ পূর্বাহ্ণ
চলছে বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বের শেষ ম্যাচ। যেখানে মুখোমুখি হয় ফরচুন বরিশাল ও ঢাকা ডমিনেটর্স। বরিশালের দেওয়া ১৭৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করে আর পেরে উঠেলো না নাসিরের ঢাকা ডমিনেটর্স। তারা ফরচুন বরিশালের কাছে ১৩ রানে পরাজয় বরণ করে নিতে হয়। নাসির দলের হয়ে একাই লড়াই করে গেলেও তীরে এসে তরি ভাসাতে পারেননি। নাসির ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করছিল ঢাকা ডমিনেটর্স। ওসমান গনি ও সৌম্য সরকারের ওপেনিং জুটিতে পাওয়ার প্লেতে আসে ৪৫ রান।তারপরেই পরপর ৩ উইকেট হারিয়ে অনেকটা ছন্দ পতন হয়। একে একে ওসমান গনি ৩০, সৌম্য ১৬ ও মোহাম্মাদ ইমরান ৩ রানে সাজ ঘরে ফিরেন।
তারপরই হাল ধরেন নাসির ও মো. মিথুন। তাদের ব্যাটে ঘুরে দাড়াতে চেষ্টা করে ঢাকা। তাদের হাত ধরে দলীয় শতকও পার করে ঢাকা ডমিনেটর্স। মো. মিথুন ৪৭ রানে আউট হলে দলের রানের চাকা স্লো হয়ে যায়। বলের চাইতে রান বেড়ে যায়। নাসির এক প্রান্ত আগলে রাখলেও শেষ পর্যন্ত ১৩ রানের হার মেনে নিতে হয় ঢাকাকে।
শুরুতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে সাকিবের বরিশাল। দলের হয়ে বিজয় ও সাঈফ হাসান ওপেন করতে নামেন। সাঈফ ১০ রানে সালমান ইরশাদের বলে তাসকিনের অসাধারণ ক্যাচে পরিণত হন। তারপর তাসকিনের আরেকটি অসাধারন ক্যাচের ফলে ৬ রানে সাজ ঘরে ফেরেন এনামুল হক বিজয়ও। এরপর ব্যাটিংয়ে উঠেন শ্রীলংকান চাতুরাঙা ডি সিলভা। তিনি নাসিরের বলে এলবিডব্লিউ হবার আগে করেন ১০ রান।
তারপর দলের হয়ে হাল ধরেন ক্যাপ্টেন সাকিব। তার ব্যাট থেকে বরাবরের মতো ছয়-চারের ফুলঝুড়ি ছুটতে থাকে। অবশেষে তাকে থামান মুক্তার আলী। বোল্ড আউট হয়ে ফেরার আগে সাকিব করেন ১৭ বলে ৩০ রান।
এরপর ফরচুন বরিশারকে আর উইকেট হারাতে হয়নি। পাকিস্তানি ব্যাটার ইফতেখার আহমদ আর মাহমুদুল্লাহর জুটি দলকে ভালো একটা সংগ্রহ এনে দেয়। ইফতেখার ৩৪ বলে ৫৬ রান ও মাহমুদউল্লাহ ৩১ বলে ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন।।
বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় মাঠে লড়াইয়ে নামে দুই দল।
এর আগে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন ঢাকার অধিনায়ক নাসির হোসেন। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান করে সাকিবের বরিশাল।