তুরস্কে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ালেন অন্য এক প্রার্থী

তুরস্কে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ালেন অন্য এক প্রার্থী

আন্তর্জাতিক

মে ১২, ২০২৩ ৯:১০ পূর্বাহ্ণ

আগামী রবিবার (১৪ মে) তুরস্কে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতীয় সংসদ ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এতে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানসহ মোট চারজন প্রার্থী।

কিন্তু নির্বাচনের মাত্র তিন আগে একজন প্রার্থী নিজেকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন, যা এরদোয়ানের জন্য ‘দুঃসংবাদ’ বলেই মনে করা হচ্ছে।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে হোমল্যান্ড পার্টির প্রার্থী মুহারেম ইনস নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন, যা এরদোয়ানের জন্য খারাপ হতে পারে এবং তার সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কিলিকদারোগলোর জন্য হতে পারে আশীর্বাদ।

কেননা, হোমল্যান্ড পার্টির মুহারেম ইনসের যেসব সমর্থক আছেন তারা তাদের ভোটগুলো এখন কেমালকে দিতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) নেতা কেমাল কিলিকদারোগলো ছয়টি দলের সঙ্গে জোট বেঁধে এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার মূল লক্ষ্য তুরস্কে এরদোয়ানের শাসনের অবসান ঘটানো।

হোমল্যান্ড পার্টির মুহারেম ইনস নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার পর একটি টুইট করেন কেমাল। এতে ইনসকে তার নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানান তিনি।

একজন প্রার্থী সরে দাঁড়ানোয় নির্বাচনী দৌঁড়ে টিকে রইলেন আর মাত্র তিনজন।

নির্বাচন নিয়ে গত ৬ ও ৭ মে ৩ হাজার ৪৮০ মানুষের ওপর একটি জরিপ চালায় তুরস্কের স্বাধীন গবেষণা এবং পর্যবেক্ষক সংস্থা কোন্ডা। এতে দেখা যায়, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে সবার চেয়ে এগিয়ে আছেন কেমাল। গড়ে ৪৯ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ তাকে নেতৃত্বে দেখতে চান। এরদোয়ানকে চান ৪৩ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ। তৃতীয় প্রার্থী সিনান ওরগানের প্রতি সমর্থন রয়েছে ৪ দশমিক ৮ শতাংশ ভোটারের। অপরদিকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো মুহারেম ইনসের প্রতি সমর্থন ছিল ২ দশমিক ২ শতাংশের। এই ভোটগুলোই এখন কেমালের ব্যালটে যেতে পারে।

তুরস্কের নির্বাচনী নিয়ম অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে হলে— একজন প্রার্থীকে মোট ভোটের ৫০ শতাংশ ভোট এককভাবে পেতে হবে। যদি কেউ এককভাব ৫০ শতাংশ ভোট না পান তাহলে সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে দুই সপ্তাহ পর রানঅফ নির্বাচন হবে। এতে যে বেশি ভোট পাবেন তিনিই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন।

সূত্র: আল জাজিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *