ড্রোন হামলার জবাবেই ইউক্রেনের বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা: পুতিন

ড্রোন হামলার জবাবেই ইউক্রেনের বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা: পুতিন

আন্তর্জাতিক স্লাইড

নভেম্বর ১, ২০২২ ১০:৪৩ পূর্বাহ্ণ

ক্রিমিয়ায় মস্কোর নৌবহরে ড্রোন হামলার জবাবে ইউক্রেনের অবকাঠামোর ওপর রুশ হামলা এবং কৃষ্ণসাগরের শস্য রপ্তানি কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

এ ছাড়া মস্কোর জাহাজে ওই হামলার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করেছেন তিনি।

সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান রুশ প্রেসিডেন্ট। খবর রয়টার্সের।

পুতিন বলেন, ইউক্রেনীয় ড্রোনগুলো সমুদ্রের এমন এলাকায় হামলার কাজে ব্যবহার করা হয়েছে, যেখানে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত চুক্তির অধীনে শস্যবাহী জাহাজগুলো চলাচল করে থাকে।

রাশিয়া সাম্প্রতিক ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বাড়িয়েছে। মূলত ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সঙ্গে রাশিয়াকে সংযুক্তকারী ইউরোপের বৃহত্তম রেল ও সড়ক সেতুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ এবং অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবে গত ৮ অক্টোবর থেকে ইউক্রেনের জ্বালানি নেটওয়ার্ক ও অবকাঠামোগুলোতে আক্রমণ শুরু করে রাশিয়া।

এর মধ্যে সম্প্রতি অধিকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপের বৃহত্তম বন্দরনগরী সেভাস্তোপলের কাছে কৃষ্ণসাগরে রুশ নৌবহরে ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলার দায় ইউক্রেনের ওপর চাপিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খাদ্যশস্য রপ্তানির বিষয়ে জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত খাদ্যশস্য চুক্তি স্থগিত করে রাশিয়া।

এর পর সোমবার ইউক্রেনের জ্বালানি স্থাপনা লক্ষ্য করে রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এতে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ এবং অন্যান্য শহরে ব্যাপক বিদ্যুৎ ও পানির সংকট দেখা দিয়েছে। সোমবারের এ হামলার পর দেশটির বিভিন্ন শহরের লাখ লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিহীন এবং কিয়েভের প্রায় ৮০ শতাংশ বাসিন্দা পানির সংকটে পড়েছেন।

ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ ফেসবুকে এক বিবৃতিতে বলেছে, রাশিয়ান বাহিনী সোমবার অন্তত ছয়টি ইউক্রেনীয় অঞ্চলের অবকাঠামোতে গোলাবর্ষণ করেছে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ইউক্রেনে হামলায় আরও পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।

ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রুশ হামলায় পানি, বিদ্যুৎ, বাঁধসহ জ্বালানি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক স্থানে বিদ্যুৎ, তাপ ও পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।

উত্তর-পূর্ব খারকিভ অঞ্চলের গভর্নর ওলেহ সিনহুবভ টেলিগ্রামে বলেছেন, ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভের প্রায় ৫০ হাজার বাসিন্দাসহ রুশ হামলার পর প্রায় এক লাখ ৪০ হাজার বাসিন্দা বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *