বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়ে যায়। এডিস মশার কয়েকটি প্রজাতি রয়েছে। এর মধ্যে মূলত এডিস এজিপটি প্রজাতির মশাই ডেঙ্গুর ভাইরাস বাহক হিসেবে কাজ করে। এই মশা কামড়ানোর পর ৩-১০ দিনের ভেতরে জ্বর আসে।
জ্বর আসার আগেরদিন থেকে সপ্তমদিন পর্যন্ত মানুষের রক্তে ডেঙ্গুর ভাইরাস সক্রিয় থাকে। তাই এ সময় তাকে এডিস মশা কামড়ালে সেই মশা ডেঙ্গুর ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। এই আক্রান্ত মশা যাকে কামড়াবে তারও ডেঙ্গু হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই সাতদিনের সঙ্গে তিনদিন মশারির ভেতরে তাকে থাকার কথা জানিয়েছেন চিকিৎসক। অর্থাৎ সুস্থ হওয়ার পর অন্তত আরো তিনদিন মশারির ভেতর থাকতে হবে।
সুস্থ হওয়ার পরও ডেঙ্গু রোগীদের বেশকিছু বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। এর মধ্যে ডেঙ্গু রোগীরা সুস্থ হওয়ার পরবর্তী ছয়মাস কাউকে রক্ত দিতে পারবেন না বলেও জানিয়েছেন তারা। পাশাপাশি ডেঙ্গু রোগীকে সুস্থ হওয়ার পর আরো ১০ দিন মশারির ভেতরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। কারণ, রক্তের মাধ্যমে ডেঙ্গুর জীবাণু ছড়াতে পারে।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভাইরোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. জাহিদুর রহমান বলেন, একজন ডেঙ্গু রোগীকে এডিস মশা কামড়ালে তার শরীরের ভাইরাসের মাধ্যমে আরেকজন আক্রান্ত হতে পারে, এজন্য তাকে মশারির ভেতরে থাকতে হবে সপ্তাহখানেক। আবার জ্বর হয়তো কমে গেছে কিন্তু হঠাৎ করেই প্লাটিলেট কমে গিয়ে তার অবস্থা খারাপ হতে পারে। এসব কারণে তাকে সতর্ক থাকতে হবে প্রায় ১০ দিন।
তিনি আরো বলেন, এখন ডেঙ্গু আক্রান্ত মানুষের রক্তের প্রয়োজন হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই রক্তদানে আগ্রহীরা আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াবেন। কিন্তু কোনো ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তি অন্তত ৬ মাস আরেকজনকে রক্ত দিতে পারবেন না।