আম ভারতীয় উপমহাদেশীয় ফল। কাঁচা কিংবা পাকা, আম পছন্দ করে না এমন লোক পাওয়া দুষ্কর। আম ম্যাঙ্গিফেরা প্রজাতির গ্রীষ্মমণ্ডলীয় উদ্ভিদে জন্মানো এক ধরনের সুস্বাদু ফল। কাঁচা অবস্থায় আমের রং সবুজ এবং পাকা অবস্থায় হলুদ হয়ে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে খাওয়ার জন্যই এ ফল চাষ করা হয়।
ভালো ঘুম হবে ভেবে রাতে আম খান অনেকেই। আম খেলে ঘুম পাওয়ার কারণ কী? গ্রীষ্ম মানেই আমের মৌসুম। প্রতিটি বাঙালির ঘরে এ সময় চলে আম পার্বণ। অনেকে গরম পছন্দ করেন শুধু আমের কারণেই। শুধু আম খাওয়ার পাশাপাশি অনেকেই আম দিয়ে বানিয়ে নেন নিত্যনতুন পদও। গরমে গলা ভেজাতে আমের শরবতও বেশ জনপ্রিয়। আম খাওয়ার পর হালকা ঝিমুনি ভাব আসে। ঘুম পায়। আম খাওয়ার পর অনেকেরই এমন হয়। কিন্তু এর কারণ জানেন না বহু মানুষই।
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, পাকা আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ট্রিপটোফ্যান। আম খেয়ে ঘুম পাওয়ার অন্যতম কারণ এটি। কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ভিটামিন, মিনারেল সমৃদ্ধ আম শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। এ ইনসুলিন ট্রিপটোফ্যান মস্তিষ্কে পাঠায়। মস্তিষ্কে ট্রিপটোফ্যান থেকে বিভিন্ন নিউরোট্রান্সমিটার সিনথেসিস হয়। এগুলোর মধ্যে অন্যতম সেরোটোনিন। মস্তিষ্ক শীতল ও ঠান্ডা রাখে সেরোটোনিন। মস্তিষ্ক ঠান্ডা হলে শরীরও নিস্তেজ হতে থাকে। ফলে ঘুম পায়। আম খাওয়ার পর ঘুম পাওয়ার মূল কারণ এটাই।
এ ছাড়া আম এমনই একটি ফল, যা ছোট বড় সবাই খুব মজা করে খায়। গরমে আম খেলে আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারিতা রয়েছে। আমে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং অনেক পুষ্টি উপাদান, যা আমাদের ফিট রাখতে সাহায্য করে। যদি আপনার হজম ভালো না হয়, তাহলে আপনার ডায়েটে আম রাখতে পারেন।
আম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ। এতে আরও অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে। আমে গ্যালোটেনিন ও ম্যাঙ্গিফেরিন রাসায়নিক পাওয়া যায়। আম খেয়ে স্থূলতা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
যদি কারো কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই আম খেতে হবে। আম খেলে হজম প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটতে পারে। কেউ আলসারে ভুগলে আম খাওয়া তার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে।
আমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ এবং ভিটামিন ‘সি’ পাওয়া যায়। ভিটামিন ‘সি’ কোলাজেন প্রোটিন তৈরি করে এবং এটি আমাদের ত্বককে সুস্থ রাখে। এটি ত্বকের বলিরেখা ও ব্রণের সমস্যা দূর করতে পারে। এ ছাড়া আম খেলে চুলের সমস্যাও দূর হয়।