‘জাতীয় নির্বাচন ঘিরে রাজনীতিতে মেরুকরণ হচ্ছে’

‘জাতীয় নির্বাচন ঘিরে রাজনীতিতে মেরুকরণ হচ্ছে’

রাজনীতি স্লাইড

জুন ২০, ২০২৩ ৯:৫৫ পূর্বাহ্ণ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আজ সারা বিশ্বে এবং জাতীয় পর্যায়ে সংকট চলছে। আমাদের দেশও এ সংকটের বাইরে নয়।

অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট সমাধানের একমাত্র উপায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জিং উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ নির্বাচন ঘিরে রাজনীতিতে মেরুকরণ হচ্ছে। পরস্পরবিরোধী মতের প্রদর্শন হচ্ছে। সোমবার আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডি কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং হবে। এখানে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংকট একাকার হয়ে গেছে। সেই সংকট থেকে আমাদের মতো দেশ রেহাই পাবে-এমন ভাবার কোনো কারণ নেই। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত জনপ্রিয়।

এ অবস্থায় নির্বাচন হলে তারা (বিএনপি) জয়লাভ করতে পারবে না। শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা দেখে তারা শঙ্কিত। এ কারণে বিএনপির নেতৃত্বে একটি মহল নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। নিজেরা ব্যর্থ হয়ে বিদেশি শক্তি ব্যবহার করতে চায়। প্রথমে তারা বিদেশিদের কাছে নালিশ করতে গেছে। এখন তারা আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে লবিস্ট নিয়োগ করেছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা বিএনপির আন্দোলনের বিরুদ্ধে শান্তি সমাবেশ নিয়ে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত মাঠে থাকব। আমাদের লড়াই হবে অশান্তির বিরুদ্ধে। যাতে কেউ নির্বাচনে বাধা দিতে না পারে। নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আমন্ত্রণ জানাব-কীভাবে নির্বাচন করছি সেটা দেখে যান। তারা (বিদেশিরা) কয়েকটি নির্বাচন দেখেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিজ্ঞা করেছেন নির্বাচন অবাধ হবে।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, সুনামের সঙ্গে শান্তিরক্ষায় নিয়োজিত দেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপি অপপ্রচার চালাচ্ছে। আর এ কাজে তারা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালকে (টিআইবি) ব্যবহার করছে। টিআইবির অপপচারের সঙ্গে বিএনপির অপপ্রচার একাকার হয়ে গেছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গৃহীত মাসব্যাপী সব কর্মসূচি সাদামাটা, স্বতঃস্ফূর্ত ও বহুমাত্রিকভাবে উদ্যাপন করা হবে।

সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও ডা. দীপু মনি; সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী; প্রচার সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লুব বড়ুয়া, উপপ্রচার সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *