চৌমুহনী বাজারের ব্যবসায়ী হত্যার আসামি ২৬ বছর পর গ্রেফতার

দেশজুড়ে

এপ্রিল ২৫, ২০২৩ ১১:৪২ অপরাহ্ণ

প্রতিনিধি নোয়াখালী

নোয়াখালীর চৌমুহনী বাজারের ব্যবসায়ী হক লাইব্রেরীর মালিক ফজুলল হক হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি জামাল উদ্দিন (৫৫) কে ২৬ বছর পর রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১১।

মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে গ্রেফতারকৃত আসামিকে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে, সোমবার রাত দেড় টার সময় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত জামাল উদ্দিন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের শরীফপুর ইউনিয়নের মৃত ছাদু মিয়ার ছেলে।
র‌্যাব-১১ নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার লে: কমান্ডার মাহমুদুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ১৯৯৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত আসামি জামাল উদ্দিন ও আবুল হাসেমসহ কয়েকজন মিলে চৌমুহনী রেলস্টেশন রোডের হক লাইব্রেরীর মালিক ফজলুল হককে মাইক্রোবাসযোগে অপহরণ করেন। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুজি করে কোন সন্ধান পায়নি। একই বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি ফজলুল হকের বাবা সামছুল হক বাদী হয়ে সহোদর আবুল হাসেম ও জামাল উদ্দিন কে আসামী কে বেগমগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত শেষে ডিবি পুলিশ হত্যাকারীররা নিহতদের মরদেহ গুম করেছে বলে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

২০১৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালতের সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সহোদর আবুল হাসেম ও জামাল উদ্দিনকে ততকালীন বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক শিরিন কবিতা আক্তার যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দেন।

নিহতের ছোট ভাই জিয়াউল হক জানান, রায় ঘোষনার সময় আবুল হাসেম উপস্থিত থাকলেও জামাল উদ্দিন ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল। তাকে গ্রেফতারের জন্য আদালত পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিল।

র‌্যাব-১১ নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার লে: কমান্ডার মাহমুদুল হাসান জানান, উক্ত চাঞ্চল্যকর মামলার রায় ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই আসামি জামাল উদ্দিন নাম পরিচয় গোপন করে আত্নগোপনে চলে যায়। র‌্যাবের সদস্যরা তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এবং ছায়া তদন্তের মাধ্যমে আসাসির পরিচয় শনাক্ত করে এবং গোয়েন্দা দলের তথ্য সংগ্রহপূর্বক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি জামাল উদ্দিনকে ২৬ বছর পর গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বেগমগঞ্জ মডেল থানায় তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *