গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সমাধানে যে খাবার এড়িয়ে চলবেন

লাইফস্টাইল

নভেম্বর ৬, ২০২৩ ৬:৫৭ অপরাহ্ণ

 

বর্তমান সময়ে গ্যাস্ট্রিক একটি প্রচলিত সমস্যার মধ্যো একটি।গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সাধারণ মনে হলেও এর কষ্ট কেবল ভুক্তভোগীরাই জানেন। বিশেষ করে খাবারের ক্ষেত্রে থাকতে হয় অনেক বেশি সতর্ক। অনেকগুলো খাবার যোগ এবং বিয়োগ করতে হয় প্রতিদিনের তালিকা থেকে। কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকলে এড়িয়ে যেতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই খাবারগুলো সম্পর্কে-

১. পপকর্ন

পপকর্ন পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুব কমই আছে। এটি পৃথিবীজুড়েই খুব জনপ্রিয় একটি খাবার। কিন্তু এই খাবারে থাকা অতিমাত্রায় ফাইবার অনেকের ক্ষেত্রে হজমে গণ্ডগোলের কারণ হতে পারে। পপকর্নে থাকা ফাইবারের কারণে গ্যাস, পেট ফাঁপার সমস্যা দেখা দিতে পারে। হালকা ধরনের এই খাবার পরিপাক ক্রিয়ায় অতিরিক্ত বায়ু যোগ করতে পারে। তাই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকলে পপকর্ন এড়িয়ে চলুন।

২. কাঁচা সবজি
অনেকে স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায় কাঁচা সবজি যোগ করেন। কাঁচা সবজিতে সালফার বা গন্ধকের যৌগ থাকে। এ ধরনের যৌগ থেকে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যে কারণে কাঁচা সবজি দিয়ে তৈরি সালাদ খেলে কারও কারও ক্ষেত্রে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে বাঁচতে কাঁচা সবজি খাওয়া এড়িয়ে যেতে হবে।

৩. চুইংগাম
চুইংগাম আসলে কোনো খাবার নয়। এটি চিবোনো হলেও শেষ পর্যন্ত গিলে ফেলা হয় না। মুখশুদ্ধি হিসেবে বহুল প্রচলিত এই জিনিসটিও কিন্তু বদহজমের কারণ হতে পারে। এর কারণ হলো, চুইংগাম মুখে রেখে চিবোলে অনেকটা বাতাসও আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। যার ফলে গ্যাসের কারণে অস্বস্তি দেখা দিতে পারে। তাই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকলে চুইংগাম চিবোনোর অভ্যাস বাদ দিন।

৪. পেঁয়াজ
পেঁয়াজের অনেক উপকারিতা রয়েছে। আবার রয়েছে কিছু ক্ষতিকর দিকও। যেমন পেঁয়াজে থাকা এক ধরনের কার্বোহাইড্রেড ফ্রুক্টন অনেকের শরীরই হজম করতে পারে না। মানুষের শরীরে প্রবেশের পর এই ফ্রুক্টন যখন ভাঙতে শুরু করে তখন পরিপাক পদ্ধতিতে গ্যাস তৈরি হয়। তাই পেঁয়াজ খেলে কারও কারও ক্ষেত্রে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ ধরনের সমস্যা থাকলে খাবার থেকে পেঁয়াজ বাদ দেওয়াই উত্তম।

৫. আপেল
আপেল আসলে স্বাস্থ্যকর একটি ফল। কিন্তু এটি গ্যাস্ট্রিকের রোগীদের জন্য উপকারী নাও হতে পারে। এর কারণ হলো, আপেল, পিচের মতো ফলে ফ্রুক্টোজের মাত্রা খুব বেশি থাকে। এর প্রভাবে শরীরে গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকলে আপেল এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *