গাজার শিশুদের জন্য শ্রীলঙ্কার ১০ লাখ ডলার অনুদান

গাজার শিশুদের জন্য শ্রীলঙ্কার ১০ লাখ ডলার অনুদান

আন্তর্জাতিক

এপ্রিল ৪, ২০২৪ ১০:৫৪ পূর্বাহ্ণ

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার শিশুদের জন্য শ্রীলঙ্কা জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থাকে ১০ লাখ ডলার অনুদান দিয়েছে। অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত হলেও প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব দেশটির মন্ত্রিসভা অনুমোদন দেয়।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে মিডিলইস্ট মনিটর।

এতে বলা হয়, অর্থনৈতিক সংকট সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কা এ অনুদান দিয়েছে। জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থা ভেঙে ফেলার যে পরিকল্পনা করা হচ্ছে, তা মোকাবিলার অন্যতম প্রচেষ্টা এটা।

ইউএনআরডব্লিউএর কর্মীরা হামাসের সঙ্গে জড়িত বলে ইসরাইল বরাবরই দাবি তুলেছে। যদিও তারা কখনোই তাদের দাবির সপক্ষে প্রমাণ দিতে পারেনি। এছাড়াও তারা গাজায় জাতিসংঘের এ সংস্থাটির কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়ার জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে লবিং করছে। ইসরাইলের দাবি, সংস্থাটি না থাকলে শরণার্থী সমস্যাও থাকবে না।

এমন পরিস্থিতির মধ্যে মঙ্গলবার গাজার জন্য ১০ লাখ ডলার অনুদান দিয়েছে অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত শ্রীলঙ্কা। দেশটির প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘সরকার গাজা উপত্যকায় সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের সহায়তার জন্য ১০ লাখ ডলার অনুদান দিয়েছে। অনুদানটি আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘের অফিশিয়াল চ্যানেলের মাধ্যমে ফিলিস্তিন সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

এর আগে, ফেব্রুয়ারি মাসে গাজায় সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের সহায়তার লক্ষ্যে একটি তহবিল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব উত্থাপন করে প্রেসিডেন্ট বিক্রমাসিংহে। মন্ত্রিসভা প্রস্তাবটির অনুমোদন দেয়ার পর এ অনুদান দেয় শ্রীলঙ্কা।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলা চালায় হামাস। এ হামলায় প্রায় ১২শ ইসরাইলি নিহত হয় বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। এছাড়াও বহু ইসরাইলিকে জিম্মি করে নিয়ে যায় হামাস। কাতারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে অনেক জিম্মি মুক্ত হলেও, এখনও হামাসের কাছে শতাধিক বন্দি আছেন।

হামাসের হামলার জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় বর্বর হামলা শুরু করে ইসরাইল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুসারে, ইসরাইলি হামলায় এ পর্যন্ত ৩২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন; আহত হয়েছেন ৭৫ হাজারের মতো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *