গাজার অর্ধেক মানুষই অনাহারে

গাজার অর্ধেক মানুষই অনাহারে

আন্তর্জাতিক স্লাইড

ডিসেম্বর ১১, ২০২৩ ৮:৪৭ পূর্বাহ্ণ

গাজা উপত্যকার অর্ধেক ফিলিস্তিনিই অনাহারে থাকছেন। সেখানে পর্যাপ্ত খাবার নেই। গাজাবাসীর মধ্যে প্রতি ১০ জনে ৯ জনেরই প্রতিদিন খাবার জোটে না।

ইসরাইলের অব্যাহত হামলার দিকে ইঙ্গিত করে কার্ল বলেন, গাজার পরিস্থিতির কারণে ত্রাণ পৌঁছানো ‘প্রায় অসম্ভব’ হয়ে উঠেছে। এক্সের পোস্টে তিনি চলতি সপ্তাহে ডব্লিউএফপির একটি প্রতিনিধি দলের গাজা পরিদর্শনের অভিজ্ঞতাও তুলে ধরেছেন। ডব্লিউএফপির প্রতিনিধি দল গুদাম ও বিতরণকেন্দ্রগুলোর সামনে হাজারো ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিকে মরিয়া হয়ে অপেক্ষা করতে দেখেছেন বলে উলে­খ করেছেন। সেখানকার দোকানগুলো প্রায় মালামাল শূন্য ছিল বলেও জানিয়েছিলেন তারা।

কার্ল আরও বলেন, হামলার কারণে গাজার জনগণের জন্য মৌলিক প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করার ক্ষমতা প্রায় ধ্বংসের পথে। সেখানে পরিস্থিতি খুবই অস্থিতিশীল। তাদের কাছে মৌলিক সরবরাহ পৌঁছানো প্রয়োজন। অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতিরও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সরবরাহ করা খাবারের কিছু অংশ গাজায় পৌঁছেছে বলেও জানিয়েছেন কার্ল। আরও জানান, ‘গাজায় জ্বালানিরও অভাব রয়েছে। কেউ নিরাপদ নয়। আমরা আমাদের কাজ করতে পারছি না।’

দক্ষিণ গাজার খান ইউনুসের নাসের হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি ও বার্ন ইউনিটের প্রধান ডা. আহমেদ মোগরাবি খাবারের অভাব নিয়ে কথা বলেছেন বিবিসির সঙ্গে।

তিনি বলেন, ‘আমার তিন বছর বয়সি একটি মেয়ে আছে। সে প্রায়ই আমার কাছে মিষ্টি, আপেল অথবা অন্য কোনো ফল চায়। কিন্তু আমি তাকে কিছুই দিতে পারি না। আমি অসহায় বোধ করি। এখানে পর্যাপ্ত খাবার নেই, শুধু আছে চাল। আপনি বিশ্বাস করতে পারেন? আমরা দিনে শুধু একবার খাই।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *