যারা সৌন্দর্য সচেতন তারাও অনেক সময় পায়ের যত্ন নিতে অবহেলা করেন। আবার অনেকে পা বলতে শুধু পায়ের পাতাকে বোঝেন। তাই বাকি অংশের যত্নের বিষয়ে তেমন একটা সচেতন হন না কিংবা ভুলবশত এড়িয়ে যান। কিন্তু অন্য সময় ভুলে গেলেও কিংবা সচেতন না থাকলেও কোরবানির সময় গরুর হাটে পায়ের বিশেষ যত্ন নেয়া উচিত।
অনেকেই গরুর হাটে খালি পায়ে থাকেন। যা একদমই উচিত নয়। এ সময় গরুর গোবর বা ছাগলের বিষ্ঠায় পা পড়তে পারে। এমনকি জুতা পরা থাকলেও সে আশঙ্কা থেকে যায়। তাই পায়ের যথাযথ যত্ন নিতে হবে। সঙ্গে বিশেষ নজর দিতে হবে পায়ের পাতার প্রতিও। কেননা, গরুর হাটে ছড়িয়ে থাকা বর্জ্য পদার্থে পায়ের পাতা লেপ্টে যেতে পারে।
যেসব উপায়ে গরুর হাটে পায়ের যত্ন নিতে পারেন
১. প্রায় সময় দেখা যায় কিছু গরু ছুটে যায়। তখন গরুটা নিজের হলে সঙ্গে সঙ্গে দৌড়াতে হয় আর অন্যের হলে দৌড়াতে হয় সামনে-পেছনে যেদিকে দু’চোখ যায়। সে সময় যদি জুতা শক্ত-সামর্থ্য না হয় তাহলে আরেক বিপদ! ঠিকমতো দৌঁড়াতেও পারবেন না। আবার জুতা ছিঁড়ে গেলে গতি কমে যাওয়ায় খেতে পারেন গরুর গুতাও। যা কেবল পায়ের জন্যই ক্ষতি নয়, শরীরের জন্যও ক্ষতি। তাই ভালো মানের শক্ত ও টেকসই জুতা পরে হাটে যাবেন।
২. গরুর হাটে যাওয়ার সময় বুট জুতা পরে যেতে পারেন। কিংবা প্লাস্টিকের জুতা। এতে গরুর গোবর বা ছাগলের বিষ্ঠা পায়ে লাগলেও পায়ের ত্বকের কোনো ক্ষতি হবে না। সহজেই পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে পারবেন।
৩. পুরো পা ঢাকা পড়ে এমন জুতা পরুন। বুট জুতা বা কেডস পরতে পারেন। এতে করে ভুলবশত কিংবা স্বজ্ঞানে যদি গরু আপনার সুন্দর পায়ে পাড়াও দেয় তাহলে আপনি তুলনামূলক কম ব্যথা পাবেন। এবং পায়ের ত্বকে দাগ পড়ার আশঙ্কাও কম থাকে।
৪. হাটে যাওয়ার আগে পায়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে পারেন। অনেকে বাইরে যাওয়ার আগে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে চান না, কারণ তাতে সহজেই ময়লা আটকে যায়। এ অভ্যাসটি একেবারেই ঠিক নয়। ধুলো-ময়লা সরাসরি ত্বকে না লেগে পেট্রোলিয়াম জেলির স্তরের ওপর আটকালেই বরং তা পরিষ্কার করা সহজ হয়।
৫. হাটে যাওয়ার আগে সঙ্গে পর্যাপ্ত পানি রাখতে পারেন। এতে নিজের এবং গরুর উভয়ের যেমন পিপাসা মিটবে। পাশাপাশি গরুর গোবর, মলমূত্রের পানি পায়ে লাগলে তাও পরিষ্কার করে নিতে পারবেন। যা পায়ের ত্বক পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করবে।