খুনের দুইদিন পর পুকুরে মিলল শিশুর লাশ

ইত্যাদি

মার্চ ২, ২০২৩ ৫:৪৫ অপরাহ্ণ

মোঃ আব্দুল হান্নান

মাত্র একটি মোবাইলের জন্য সাত বছরের শিশু খুনের ২দিন পর পুকুরে মিলল শিশুর লাশ। ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের কুলিকুন্ডা গ্রামে। ঘটনার বিবরণে জানা গেছে ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ রোজ মঙ্গলবার বিকেল প্রায় ৩ ঘটিকার সময় সদর ইউনিয়নের কুলিকুন্ডা গ্রামের প্রবাসী মোঃ আব্দুল হাই ভূইয়ার ১ম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছেলে রনি ওরুফে ছোটনকে তার হাতে থাকা একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে এমবি দেয়ার কথা বলে তার প্রতিবেশি শাহ আলম এর ছেলে রিফাত,ওতার দুই বন্ধু লিটন আর ইয়াছিন মিলে ফুসলিয়ে বাড়ি থেকে পার্শ্ববর্তী দাঁতমন্ডল গ্রামে ওরসে নিয়ে যায়।সন্ধ্যা ৫ ঘটিকার সময় রনির বোন রনির হাতে থাকা মোবাইলে ফোন দিলে রিফাত ফোনটি রিসিভ করে। ছোটনের বোনের কন্ঠ বুঝতে পেরে ফোনটি বন্ধ করে দেয় রিফাত। ওই ঘটনায় রনির মা সুলেমা বেগম বাদী হয়ে নাসিরনগর থানা একটি সাধারণ ডাইরী নং- ৩৩ দায়ের করে।এ সময় স্থানীয় জনতা রিফাতকে আটক করে ছোটন কোথায় জানতে চাইলে রিফাত একেক সময় একেক রকমের কথাবার্তা বলে। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রিফাত স্বীকার করে রিফাত তার দুই বন্ধু লিটন ও ইয়াছিন মিলে ছোটনকে মেরে নুরপুর গ্রামের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আহসানুল হকের পুকুরে ডুবিয়ে রেখেছে।
২ মার্চ বেলা ২ ঘটিকার সময় এস আই আরিফুর রহমান সরকার এস আই আমিনুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে নুরপুরের পশ্চিমে ও কুলিকুন্ডার পূর্বপাশে অবস্থিত আহসানুল হক মাষ্টারের পুকুর থেকেপানির নীচে হাতবাধা অবস্থায় ছোটনের অর্ধগলিত লাশ উদ্বার করে থানায় নিয়ে আসে।এ সময় লাশ থেকে প্রচুর দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল।
সরেজমিন ঘটনাস্থল পুকুর পাড়ে গিয়ে দেখা গেছে তারা ছোটন ওরুপে রনিকে শ্বাসরোদ্ধ করে মেরে লাশের হাত রশিদিয়ে পুকুরের ভেতরে পানির নীচে বাঁশের সাথে বেধে রাখে।রনির বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে তার মা,বোন, কালাম্মা সহ বাড়ির লোকজনের কান্নায় আকাশ ভারী হয়ে উঠছে। স্থানিয় ইউপি সদস্য মোঃ মোখলেছুর রহমান ভূইয়া জানান গত রাত থেকে রিফাত একেক সময় একেক রকমের কথা বলছে। রিফাতদের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে তার মা বাবা গতকাল সন্ধার পর থেকেই ঘর তালা দিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।

রিফাতের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে তাদের ঘরে তালা ঝুরছে।রিফাতের মা বাবা কোথায়? জানতে চাইলে রিফাতের চাচী বলেন গতকাল থেকেই তারা ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে গেছে।

ছোটনের মা,ভাই বোন আর আত্মীয়দের কান্নার আওয়াজে বাতাস ভারী হয়ে আসছে। ছোটনের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকার জানান রিফাত ও লিটনকে আটক করা হয়েছে।ইয়াছিন পালিয়ে গেছে তাকেও আটকের চেষ্টা চলছে। তিনি আরো বলেন, ছোটন হত্যার পেছনে আরো কোন রহস্য রয়েছে কিনা তা খোঁজে দেখা হচ্ছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *