কলারোয়ায় ভিজিএফ-ভিজিডির ১৫ বস্তা চাল সরিয়ে নেওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটির কাজ শুরু

কলারোয়ায় ভিজিএফ-ভিজিডির ১৫ বস্তা চাল সরিয়ে নেওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটির কাজ শুরু

দেশজুড়ে

জুলাই ৫, ২০২৩ ৯:২৩ অপরাহ্ণ

মনিরুজ্জামান মনি, সাতক্ষীরা

পবিত্র ঈদুল আজহায় দুস্থদের বিতরণের জন্য দেওয়া ভিজিএফ ও ভিজিডির ১৫ বস্তা চাল অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠিত এই কমিটি আজ বুধবার দ্বিতীয় দিনের কাজ অব্যাহত রেখেছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার এই কমিটি তদন্ত রিপোর্ট সম্পন্ন করবে। ঘটনাটি সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ১ নং জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের।

জানা গেছে, গত ২৭ জুন তালিকাভুক্ত দুস্থদের মাঝে চাল বিতরণ না করে ১৫ বস্তা চালের পৃথক দুটি চালান একজন গ্রামপুলিশ সদস্যের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামে একটি ইজিবাইকযোগে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছিলো। প্রথম চালানটি বাধাহীনভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও একই বাহনে চালের দ্বিতীয় চালানটি সরিয়ে নেওয়ার সময় পথিমধ্যে গাজনা গ্রামে স্থানীয় জনতা তা আটক করে পুলিশে খবর দেয়। আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ভিজিএফ ও ভিজিডির এই চাল সরিয়ে নেওয়ার ঘটনায় হইচই পড়ে যায় এলাকায়।

স্থানীয় সরসকাটি পুলিশ ফাঁড়ি জব্দ করে ৬৩০ কেজি ওজনের এই চাল। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাস এই ঘটনায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল হোসেন মিয়াকে প্রধান করে ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। গতকাল মঙ্গলবার এই কমিটি তদন্তকাজ শুরু করে আজ বুধবার দ্বিতীয় দিনের ন্যায় কাজ অব্যাহত রেখেছে। তদন্ত কমিটির প্রধান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল হোসেন মিয়া সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানান, চাল সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য/সদস্যা ও গ্রামপুলিশের কাছ থেকে লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করেছি। সেগুলো পূর্ণ তদন্তের মাধ্যমে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন উপজেলা নির্বাহী অফিসারে কাছে দাখিল করা হবে।

এ বিষয়ে দফাদার (গ্রামপুলিশ) আলাউদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, একটি মাছের ঘেরের খাদ্য হিসেবে তিনি ওই চাল কিনে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্ত তার বক্তব্যে চাল কেনা প্রক্রিয়ার তেমন কোনো স্বচ্ছতা মেলেনি। তদন্তকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জয়নগর ইউপি চেয়ারম্যান বিশাখা সাহা বলেন, এই চালের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। ইউপি সচিব না থাকায় তিনি দফাদারকে চাল বিতরণের দায়িত্ব দেন। দফাদারই সব জানেন। আজ বুধবার তদন্ত কমিটির সদস্য উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামার মোতাহার হোসেন জানান, তারা লিখিত বক্তব্য যাচাই করে তদন্ত কাজ দ্বিতীয় দিনের মতো চালিয়ে যাচ্ছেন। তদন্ত কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তিনি এ বিষয়ে কোনোরূপ মন্তব্য করতে আগ্রহ প্রকাশ করেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *