জানুয়ারি ১, ২০২৪ ১১:৪০ পূর্বাহ্ণ
বিদায়ী বছরের শেষ দিনে রোববার দেশজুড়ে শীতের অনুভূতি কিছুটা বেড়েছে। ঢাকাসহ দেশের অনেক অঞ্চলেই বেড়েছে কুয়াশার ঘনত্ব। এ রকম অবস্থা আরো দুই-তিন দিন থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, সোমবারও মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত থাকতে পারে এ ঘন কুয়াশা। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন ও সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত হতে পারে।
এদিকে আবহাওয়ার বিশেষ ধরন এল নিনোর প্রভাবে নতুন বছরের জানুয়ারি মাসেও শীত স্বাভাবিকের চেয়ে কম থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
তবে জানুয়ারি দেশের শীতলতম মাস হওয়ায় শীতকালের চরিত্র মেনেই ডিসেম্বরের তুলনায় চলতি মাসে শীতের অনুভূতি বাড়বে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
গত বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় সিলেটের শ্রীমঙ্গলে ১৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিস বলছে, সারা দেশে আজ দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে প্রায় এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস।
নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহে শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা কম রয়েছে উল্লেখ করে আবহাওয়াবিদরা বলেন, কুয়াশা বেশি থাকলে দিনের তাপমাত্রা কমলেও রাতের তাপমাত্রা সে তুলনায় তেমন কমে না। এই কুয়াশাভাব কাটতে আরো দুই-তিন দিন লাগতে পারে। জানুয়ারি মাস দেশের শীতলতম মাস। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এই মাসে শৈত্যপ্রবাহ হবে। তবে এল নিনোর প্রভাবে এবার তীব্র শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা কম।
জলবায়ু পরিবর্তন ও এল নিনোর প্রভাবে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও তাপমাত্রা ও উষ্ণতার নতুন রেকর্ড গড়েছে বিদায়ী বছর। অন্যান্য বছরের তুলনায় গত বছর দেশে তাপপ্রবাহের দিন সংখ্যা ছিল অনেক বেশি।
আবহাওয়াবিদরা জানান, গত বছরের মতো নতুন বছরের প্রথম ছয় মাস পর্যন্ত তাপপ্রবাহ বেশি থাকতে পারে। এল নিনো সক্রিয় থাকতে পারে চলতি বছরের এপ্রিল-মে পর্যন্ত। এরপর আবহাওয়া আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসতে পারে।