ওয়াগনার বিদ্রোহের পর এবার রাশিয়ার ভেতরে আক্রমণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে ফ্রিডম অব রাশিয়া লিজন নামে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনবিরোধী একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম অবজারভারে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গোষ্ঠীটির কমান্ডার সিজার এ দাবি করেছেন।
তিনি বলেছেন, ‘আগামী মাসে বা এর পরে চমকপ্রদ কিছু আসছে। এটা হবে আমাদের তৃতীয় অভিযান। এরপর আমরা চতুর্থ ও পঞ্চম অভিযান চালাব। আমাদের অনেক বড় পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা আমাদের সব অঞ্চল মুক্ত করতে চাই।’
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর সহায়তার তার বাহিনী কাজ করছে বলে জানিয়েছেন সিজার। তবে রাশিয়ার ভূখণ্ডে প্রবেশের পর তারা স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেবেন।
ফ্রিডম অব রাশিয়া লিজনের সাঁজোয়া যানগুলো নিয়ে সিজারের ভাষ্য, সেগুলোর বেশির ভাগই ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া।
গত মাসে ওয়াগনারপ্রধান প্রিগোজিনের বিদ্রোহ পুতিনকে দুর্বল করে দিয়েছে বলে মনে করেন সিজার।
তিনি বলেন, প্রিগোজিন যখন বিদ্রোহ শুরু করেছিলেন, তখন তার মূল উদ্দেশ্য ছিল, রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু ও সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভকে আটকের পর পদচ্যুত করা।
সিজারের প্রকৃত নাম ম্যাক্সিমিলিয়ান আন্দ্রোনিকভ। একসময় রাশিয়ার সোচি ও সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে শরীরচর্চার প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করতেন তিনি।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এ সময় রাশিয়া থেকে ইউক্রেনে চলে যান সিজার। সে বছরের মার্চে গড়ে তোলা হয় ফ্রিডম অব রাশিয়া লিজন।
ফ্রিডম অব রাশিয়া লিজনে প্রায় ২০০ সদস্য রয়েছেন। তারা একসময় রুশ সামরিক বাহিনীতে কাজ করতেন।
গত মে ও জুন মাসে তারা রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা চালিয়েছেন। দখলে নিয়েছেন বেলগোরোদ শহরের কাছে সীমান্ত–সংলগ্ন কয়েকটি গ্রাম। সেখানে রুশ সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন তারা। তখন ১০ জন রুশ সেনাকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন সিজার।