টেস্টের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টানা ব্যর্থ বাংলাদেশ। তবে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স আর অভিজ্ঞতার বিচারে আসন্ন ওয়ানডে সিরিজে এগিয়ে থাকবে টিম টাইগার্স। পবিত্র ঈদুল আজহার দিন তথা রোববার (১০ জুলাই) গায়ানায় বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় তিন ম্যাচ ওয়ানডের প্রথমটি অনুষ্ঠিত হবে।
টেস্ট আর টি-টোয়েন্টি সিরিজে ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ হয়েছে। ক্যারিবিয়ান সফরে এখনো যে বাংলাদেশ জয়শূন্য। দিশাহারা নাবিকের সামনে বাতিঘর হয়ে আসছে ওয়ানডে সিরিজ। বাংলার সবচেয়ে পছন্দসই আর স্বস্তির ফরম্যাট।
এ সিরিজ জিতলে আগামী বছর ভারত বিশ্বকাপের সরাসরি টিকিট নিশ্চিত হবে টিম টাইগারদের। সম্প্রতি প্রোটিয়াদের মাটিতে তাদের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের সুখস্মৃতি জোগাচ্ছে অনুপ্রেরণা। সাদা বলে উইন্ডিজরা ভালো দল হলেও টাইগারও যে প্রস্তুত।
টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি জিততে না পারলেও এ দেশের উইকেটের সঙ্গে সাদৃশ্য আছে ক্যারিবিয়ান উইকেটের, যা টাইগারদের দেবে বাড়তি সুবিধা। ২০২৩ বিশ্বকাপের আগে লাইনআপ ঠিক করার মোক্ষম সুযোগ। সাবেকরাও বলছেন ঘরের সঙ্গে ওয়ানডে অ্যাওয়ে ম্যাচ জয়ের যে অভ্যাস গড়ে উঠেছে, তা রাখতে হবে ধরে।
অন্যদিকে ২১ ম্যাচে ৮০ পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপে সরাসরি অংশগ্রহণে শঙ্কায় থাকা উইন্ডিজরা শেষ সিরিজে চাইবে মরণকামড় দিতে। তাই তো তাদের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে নতুন করে পরিকল্পনা সাজাতে হবে তামিম বাহিনীকে।
আগামী ১০ জুলাই সিরিজের প্রথম ওয়ানডের পর দুদিন বিরতি দিয়ে ১৩ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের দ্বিতীয় এক দিনের ম্যাচটি। পূর্ণাঙ্গ সিরিজের সব শেষ ম্যাচটি অর্থাৎ তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ১৬ জুলাই।
এদিকে, ওয়ানডে সিরিজে না খেলার সম্ভাবনা রয়েছে টেস্ট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের। বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার ইতোমধ্যে জানিয়েছেন তিনি ওয়ানডে সিরিজ খেলবেন না। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকেও মৌখিকভাবে তিনি বিষয়টি জানিয়েছেন। তার মৌখিক আবেদনের ভিত্তিতেই ক্রিকেট বোর্ড ওয়ানডে সিরিজ ছুটিও দিয়েছে তাকে।