পশ্চিমা বিশ্ব এবং ন্যাটোকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ইউক্রেনে হামলা অব্যাহত রেখেছে রাশিয়া। শুক্রবার (১ জুলাই) নতুন করে ইউক্রেনের ওডেসায় রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জার্মানি ও পশ্চিমা দেশগুলো। তবে হতাহতের দায় নিতে নারাজ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
পশ্চিমা বিশ্ব তথা ন্যাটোর ৩০ দেশের যে কোনো হুমকি-ধামকি রাশিয়া যেন তোয়াক্কাই করছে না। স্পেনের মাদ্রিদে পশ্চিমাদের সামরিক নিরাপত্তা জোট ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলনের একদিন পর শুক্রবারই ইউক্রেনের ওডেসায় হামলা জোরদার করেছে রুশ বাহিনী। অবিরাম গোলাবর্ষণ ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বেশ কয়েকজন নিহতের খবর নিশ্চিত করে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে বন্দরনগরী ওডেসা থেকে ৮০ কিমি দূরের একটি অঞ্চলের বাড়িঘরেও হামলা চালায় রুশ বাহিনী। এতে কমপক্ষে ১৪ নিহত ও ৩০ জন আহতের তথ্য গণমাধ্যমকে জানান দেশটির উদ্ধারকর্মীরা। এর আগে ইউক্রেনের আরেক শহর ক্রেমেন্টশুকে হামলায় কমপক্ষে ১৮ জন বেসামরিক নাগরিক নিহতের খবর পাওয়া গেছে। খবর রয়টার্সের।
ইউক্রেনে নতুন করে এসব হামলার ঘটনায় উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জার্মানিসহ বেশ কয়েকটি দেশ। বার্লিনে গণমাধ্যমকে দেয়া এক বিবৃতিতে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলজ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক এ হামলাকে বর্বরোচিত উল্লেখ করে বলেন, এমন নিষ্ঠুর হামলার দায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে নিতেই হবে।
তিনি বলেন, ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলন শেষ হতে না হতেই ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর হামলা জোরদার করার মাধ্যমে এটি পরিষ্কার, রাশিয়া চায় না এ অঞ্চলে শান্তি আসুক। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে এ হামলা ও হত্যার দায় নিতেই হবে। নিশ্চয়ই আন্তর্জাতিক মহল একদিন তার বিচার করবে।
ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় হতাহতের ঘটনায় দায় নিতে নারাজ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শুক্রবার রাশিয়ার জাতীয় গণমাধ্যম দেয়া এক বিবৃতিতে পুতিন বলেন, নিরাপত্তার নামে পশ্চিমা বিশ্বের সামরিক সম্প্রসারণ নীতি অগ্রহণযোগ্য। তিনি আরও বলেন পশ্চিমা বিশ্বের নিষেধাজ্ঞার কারণেই রাশিয়া ও বেলারুশের সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে।