আলোচনায় ইসলামাবাদ-বেইজিং সম্পর্ক

আন্তর্জাতিক

এপ্রিল ৯, ২০২২ ১০:১৪ পূর্বাহ্ণ

পাকিস্তানে রাজনৈতিক সংকটের জেরে আলোচনায় ইসলামাবাদ-বেইজিং সম্পর্ক। ক্ষমতা পরিবর্তন হলে চীনের অর্থায়নে পাকিস্তানে চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাধাগ্রস্ত হবে কি না সে হিসাবও করছেন অনেকে।

যদিও সাধারণ পাকিস্তানিদের আশা, রাজনৈতিক পরিবর্তনেও চীন-পাকিস্তান সম্পর্ক অটুট থাকবে।

টালমাটাল পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গন। ক্ষমতা পরিবর্তনের ইঙ্গিতের সঙ্গে সঙ্গে আলোচনায় দেশটির ভবিষ্যৎ। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ভুল পররাষ্ট্রনীতির সমালোচনা করে আসছেন বিরোধীরা। এ অবস্থায় ক্ষমতায় নতুন সরকার এলে দেশটির ভঙ্গুর অর্থনীতিকে সচল করতে তারা কী পদক্ষেপ নেয়, তা নিয়েও আলোচনা চলছে। তবে ইমরান সরকারের আমলে চীনের অর্থায়নে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প নিয়েই দুশ্চিন্তায় তারা। ইমরান যেভাবে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে অর্থনৈতিক উন্নয়নের চেষ্টা করেছেন, নতুন সরকার তা পারবে কি না সে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দ্য ডিপ্লোম্যাটসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম। বিশেষ করে চীন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর নিয়েই আলোচনা বেশি হচ্ছে।

সরকার পরিবর্তন হলেও পাকিস্তান-চীন সম্পর্ক স্বাভাবিক থাকবে বলে মনে করেন পাকিস্তানের সাধারণ জনগণ। তাদের বিশ্বাস যে কোনো সরকারই তাদের দেশের উন্নয়নের জন্য চীনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে।

এক পাকিস্তানি নাগরিক বলেন, আমরা আশা করি চীন তাদের প্রকল্পগুলো চলমান রাখবে। বিশেষ করে গোয়াদার প্রকল্পে শুধু পাকিস্তান না, চীনও লাভবান হবে।

পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে চীন-পাকিস্তান সম্পর্কের কোনো অবনতি হবে না বলেই আমার বিশ্বাস। চীন-পাকিস্তানের বন্ধুত্ব আগের মতোই থাকবে। ইসলামাবাদ-বেইজিং সম্পর্ক কোনো সরকারই অস্বীকার করতে পারবে না। প্রতিটা সরকারই চায় পাকিস্তানের উন্নয়নে চীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখুক।

লজ্জাজনক বিদায় এড়াতে পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিরোধীদের অনাস্থা ভোট বাতিল করে দেন ইমরান খান। যদিও সেই ভোট বাতিল করে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে অবৈধ উল্লেখ করে রায় দিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *