আপনার সঙ্গী মিথ্যা বলছে কি-না বোঝার উপায়

আপনার সঙ্গী মিথ্যা বলছে কি-না বোঝার উপায়

লাইফস্টাইল স্পেশাল

জুলাই ১২, ২০২৪ ৮:৩১ পূর্বাহ্ণ

সত্য কখনো চাপা থাকে না। সম্পর্কে অনেকেই বহু কিছু গোপন রাখেন। কেউ নিজের সঙ্গীকে বলতে চেয়েও পারেন না, কেউ আবার সঙ্গীর চিন্তা বাড়বে বলে অনেক কথাই রেখে দেন নিজের মনে।কিন্তু মিথ্যা একসময় বের হয়েই আসে। তবে মিথ্যা বলে কিন্তু প্রাথমিকভাবে অনেক পরিস্থিতিই অনেকে সামলে নেন। মিথ্যার ভিড়ে সত্যকে খুঁজতে গিয়ে মুশকিলেও পড়তে হয় আমাদের প্রায়ই।

তবে কেউ কথা বলার সময় সতর্কতার সঙ্গে মনোযোগ দিয়ে তাকে খেয়াল করলে অনেক ক্ষেত্রেই বোঝা যায়, তিনি সত্য বলছেন, না মিথ্যা, তা বোঝারও অন্যতম উপায় হতে পারে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি। কোনও ব্যক্তির বাচনভঙ্গি, কথা বলার সময় কোন দিকে তিনি তাকাচ্ছেন, কিংবা কথা বললে তাঁর গলার স্বর বদলে যাচ্ছে কি না, তা দেখেই নাকি বলে দেওয়া যেতে পারে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সত্যি বলছেন, না মিথ্যা।

হাতের ভঙ্গিমা: সাধারণত যখন কোনও মানুষ সত্যি কথা বলেন, তখন কথা বলার আগে বা কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে হাতের ভঙ্গিমার বদল হয়। কিন্তু মিথ্যে কথা বলার অর্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে কোনও কাল্পনিক ঘটনা নির্মাণ করতে হচ্ছে। তাই মস্তিষ্কের স্বাভাবিক অনুসারী ক্রিয়া কিছুটা ব্যাহত হয়। সেই কারণেই দেরি হয় হাতের সঞ্চালনে।

চোখ: অনেক সময় যারা মিথ্যা কথা বলেন, তারা সরাসরি উল্টো দিকের মানুষটির চোখের দিকে তাকাতে অস্বস্তি বোধ করেন। মিথ্যা কথা বলার সময় সরাসরি চোখে চোখ রাখতে সঙ্কোচ বোধ করেন অনেকেই। তাই দৃষ্টির দিকে নজর রাখলেই তিনি মিথ্যে বলছেন কি না, তা ধরা পড়ে যেতে পারে।

মুখভঙ্গি: কারো কারো মতে, ঠোঁট ভিতরের দিকে ঢুকিয়ে নেওয়া কিংবা ঠোঁট চেপে রাখার মতো বিষয় মিথ্যা কথা বলার লক্ষণ হতে পারে। বার বার ঢোক গেলা ও জিভ মুখের ভিতরে ঢুকিয়ে নেওয়াও মিথ্যা কথা বলার লক্ষণ হতে পারে।

শ্বাসপ্রশ্বাস: কেউ কথা বলার সময় তার কণ্ঠ এবং কথার গতি খেয়াল করুন। খেয়াল করুন তার শ্বাসপ্রশ্বাসও। মিথ্যা বলার সময় এসবে বেশ খানিকটা পরিবর্তন চলে আসে। কেউ ঘন ঘন শ্বাস নেন, কেউ দ্রুত কথা বলেন। কারও ক্ষেত্রে ঘটে উল্টোটাও।

গলার স্বর: কথা বলার সময়ে কণ্ঠস্বরের আকস্মিক পরিবর্তন মিথ্যে কথার ইঙ্গিত হতে পারে। অনেকের মতে, মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্বরযন্ত্রে বদল আসে। তাই মিথ্যে কথা বলার সময়ে যদি কারও মানসিক চাপ তৈরি হয়, তবে

অসামঞ্জস্য: একটা মিথ্যা বললে সাধারণত পরপর অনেকগুলো মিথ্যা বলতে হয়। মিথ্যার ফুল দিয়ে মালা বানানো সহজ নয়। কেননা, এর ভেতর ফাঁকফোকর থেকেই যায়। মিথ্যার পর মিথ্যা সাজানো কঠিন। তাই মিথ্যায় থাকে নানা অসংগতি। কথার সংগতির পাশাপাশি আরও খেয়াল করুন, কথার সঙ্গে ওই ব্যক্তির মুখ, দেহভঙ্গি এবং কণ্ঠের সামঞ্জস্য থাকছে কি না। আঙুলের অস্থিরতা লুকাতে কেউ কেউ নিজের হাত দুটোকে নিজের পেছনেও লুকিয়ে ফেলতে পারেন। কেউ আবার গোটা শরীরের নড়াচড়াই কমিয়ে দিতে পারেন। সতর্কতা অবলম্বনে হাত-পা গুটিয়ে নিতে পারেন মিথ্যা বলার সময়।

মুখ দেখে মানুষ কেমন বলে দেয়া যায়। তাই বলে, ঘুমের ধরন দেখেও বলা সম্ভব? বিজ্ঞান বলছে সম্ভব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *