আন্তর্জাতিক ক্রিকেটই ছাড়তে চেয়েছিলেন ডি কক

খেলা

ডিসেম্বর ৫, ২০২৩ ৬:৩১ অপরাহ্ণ

ভারতের মাটিতে সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপ শেষে ফরম্যাটটি থেকে অবসর নিয়েছেন দুর্দান্ত আসর কাটানো দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটরক্ষক-ব্যাটার কুইন্টন ডি কক। বিশ্বকাপ শুরুর আগেই তিনি বিষয়টি ঘোষণা দিয়েছিলেন। ফলে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটিই শেষ ওয়ানডে ছিল ডি ককের জন্য। তবে তারকা এই ব্যাটার নাকি পুরো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকেই (ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি) বিদায় জানাতে চেয়েছিলেন। তবে ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে তাকে এমন সিদ্ধান্ত থেকে আটকে রাখার কথা জানিয়েছেন প্রোটিয়াদের সাদা বলের কোচ কোচ রব ওয়াল্টার।

এর আগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন ডি কক। নতুন করে ওয়ানডে’কে বিদায় বলায় তার সামনে কেবল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট বাকি। আগামী বছরের জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে বসবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসর। যার সুবাদে আরও কিছু সময় ডি কককে দেখা যাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে।

গতকাল (সোমবার) ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে এবং টেস্ট সিরিজের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ওই সময় রব ওয়াল্টার সংবাদ সম্মেলনে ডি ককের অবসর আটকে রাখার কথা জানিয়েছেন। তার দাবি— প্রথমে সব ফরম্যাট থেকে অবসর নিতে চেয়েছিলেন ডি কক, কিন্তু তাকে সেটি করতে বাধা দেওয়া হয়েছে।

এর আগে টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলার পর এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান শুধুমাত্র ওয়ানডে ফরম্যাট থেকে অবসরের ঘোষণা করেন। এ নিয়ে রব ওয়াল্টার বলেন, ‘বিশ্বকাপের পর অবসর নেওয়ার বিষয়ে যখন আমরা কুইনির সঙ্গে কথা বলেছিলাম, তখন তার মূল পরিকল্পনা ছিল সব ফরম্যাট থেকে অবসর নেওয়া। তারপর আমি তাকে এমনটা করতে নিষেধ করলাম। সে বিগ ব্যাশ লিগে খেলার সুযোগ পেয়েছিল, যা ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের সময়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাদের দলে রাখতেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

মাত্র ৩০ বছর বয়সেই দুটি ফরম্যাট থেকে অবসর নিয়েছেন ডি কক এবং তিনি ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগের অংশ হতেই পুরো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন। ডি ককের অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিগ ব্যাশ লিগে অংশ নেওয়ার কথা ছিল, যা ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের সময়ে হবে বলে টিম ম্যানেজমেন্ট তাকে এই সিরিজে রাখেনি। সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপে ডি কক ছিলেন দারুণ ধারাবাহিক। ১০ ম্যাচে চারটি সেঞ্চুরিসহ তিনি ৫৯৪ রান করেছিলেন। যা টুর্নামেন্টে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *