আগামী নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে: প্রধানমন্ত্রী

আগামী নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে: প্রধানমন্ত্রী

জাতীয় স্লাইড

মে ৮, ২০২৩ ১:০৯ অপরাহ্ণ

বিএনপি-জামায়াতকে ভোট চোর আখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের মানুষ আগামী সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে।

তিনি বলেন, তারা (বিএনপি-জামায়াত) দেশকে ধ্বংস করতে চায়। তাই, সতর্ক থাকুন, যেন বিএনপি-জামায়াত চক্র আবার ক্ষমতায় না আসে।

রোববার (স্থানীয় সময়) লন্ডন ম্যারিয়ট হোটেলে যুক্তরাজ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের প্রয়োজনে পাশে থাকায় আগামী সাধারণ নির্বাচনে তার দল বিজয়ী হবে।

তিনি বলেন, ইনশাআল্লাহ, জনগণ আমাদের তাদের সেবা করার সুযোগ দেবে। সবাইকে (নেতাকর্মী) আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজ করতে হবে, কারণ, নির্বাচনে আমরা বিজয়ী হবো। পাশাপাশি তিনি আশা প্রকাশ করেন, দেশের মানুষ বিএনপি-জামায়াতের ওপর আস্থা রাখবে না।

সরকার প্রধান বলেন, তারা (বিএনপি) দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছে এবং এভাবে দেশকে ধ্বংস করেছে। তাহলে, জনগণ কীভাবে তাদের প্রতি আস্থা রাখবে। জনগণ এরই মধ্যে জেনে গেছে, তারা চোর, দুর্নীতিবাজ, খুনি, গ্রেনেড হামলাকারী ও লুটেরা এবং তারা খুনিদের পৃষ্ঠপোষক।

তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট অর্থ আত্মসাৎ করে দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে। তারেক রহমানকে তার দুর্নীতির দায়ে সাজা দেওয়া হয়েছে এবং খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে কোকোর পাচারকৃত প্রায় ৪০ কোটি টাকা সরকার দেশে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।

২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি স্মার্ট দেশ হবে বলে অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ডেল্টা-২১০০ পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি। আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, দেশে আর কোনো গৃহহীন, ভূমিহীন মানুষ থাকবে না। আওয়ামী লীগ মানুষের কল্যাণে কাজ করে। বাংলাদেশের কোনো মানুষের আর খাদ্যের অভাব থাকবে না।

বিএনপিকে ভোট চোর আখ্যা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তারেক রহমান একজন ভোট চোর এবং তার মাও ভোট চোর। বিএনপি-জামায়াতের মতো আওয়ামী লীগ ভোট কারচুপি করে ক্ষমতায় আসেনি। আওয়ামী লীগ সব সময় দেশ ও দেশের মানুষের অধিকারের জন্য লড়াই করে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসেছে। আওয়ামী লীগ কখনো ক্ষমতা দখল বা চুরি করে ক্ষমতায় আসেনি।

প্রধানমন্ত্রী বিএনপি নেতাদের কাছে জানতে চান, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনে কয়টি দল অংশ নিয়েছিল এবং কতটি ভোট পড়েছিল।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, দেশের জনগণ তাদের ভোটের অধিকার সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন। আমরাই এ ব্যাপারে জনগণকে সচেতন করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচন নিয়ে কারো কিছু বলার নেই। সেই নির্বাচনের ফলাফল কী ছিল? বিএনপির ২০ দলীয় জোট কতটি আসন পেয়েছিল? ২০-দলীয় জোট নির্বাচনে ২৯টি আসন এবং পরে উপনির্বাচনে ১টিসহ মোট ৩০টি আসনে জিতেছিল। আর বাকি আসন ছিল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের। জনগণের কাছে তাদের অবস্থান কোথায় যে তারা এত লাফালাফি করে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *