শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল: এভিয়েশন শিল্পের গেম চেঞ্জার

শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল: এভিয়েশন শিল্পের গেম চেঞ্জার

জাতীয় স্লাইড

অক্টোবর ৬, ২০২৩ ১০:৪৮ পূর্বাহ্ণ

দেশে ফেরা ও বিদেশগামী যাত্রীদের সর্বাধুনিক সেবা দিতে প্রস্তুত হচ্ছে রাজধানীর হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল। শনিবার স্বল্প পরিসরে এটি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে পুরোপুরি যাত্রী চলাচলের জন্য টার্মিনালটি প্রস্তুত হতে সময় লাগবে আরো এক বছর। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ টার্মিনাল হবে দেশের এভিয়েশন শিল্পে গেম চেঞ্জার।

এ টার্মিনালের মাধ্যমে সহজ ও স্বল্প সময়ে ভোগান্তি ছাড়াই ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারবেন যাত্রীরা। দেশে প্রথম অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি এ টার্মিনালে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সিভিল এভিয়েশন।

সম্পূর্ণ নতুন ও অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে শাহজালাল বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল করছে বাংলাদেশ। এর মনমুগ্ধকর নির্মাণশৈলি আকাশ পথের যাত্রী ও বিভিন্ন দেশের এয়ারলাইন্সকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে।

এরই মধ্যে শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের কাজ প্রায় ৯০ শতাংশ শেষ। এ টার্মিনালের অন্যতম বৈশিষ্ট্য- বিশ্বসেরা বিমানবন্দরের মতো সেবা পাবেন যাত্রীরা। প্রবেশের পরই স্বয়ংক্রিয় ৫ লেয়ারের স্ক্যানিং মেশিন, চেক ইন কাউন্টার, বডি ও হ্যান্ড ব্যাগ পরীক্ষায় আলাদা স্ক্যানিং ব্যবস্থায় থাকবে না কোন হয়রানি। দীর্ঘ পরিসরে অভ্যন্তরীণ যাতায়াত ক্লান্তিহীন করতে বিশেষ করে অসুস্থ ও বয়স্কদের জন্য থাকছে দুই ফ্লোরে ১৪টি মুভিং ওয়ার্কার। যার মাধ্যমে না হেঁটে দাঁড়িয়ে থেকেই ইমিগ্রেশন থেকে অভ্যন্তরীণ চলাচল সহজে হবে যাত্রীদের।

এক থেকে তিনতলা পর্যন্ত ওঠানামায় থাকবে লিফট ও চলন্ত সিঁড়ি। বিমানে ওঠার আগ পর্যন্ত এসব প্রযুক্তি ব্যবহারে সব কার্যক্রম স্বল্প সময়েই শেষ করা যাবে বলেই মনে করছেন সিভিল এভিয়েশন চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান।

তিনি বলেন, এ ধরনের প্রযুক্তি আগে আমাদের দেশে ছিল না, এটাই প্রথম। ফলে সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে যেমন যাত্রীরা উপকৃত হবে, তেমনি বিমান পরিচালনা সংস্থাগুলোর কাছেও ঢাকা এক নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটর্ফম হবে।

এদিকে শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে যাত্রীরা উন্নতমানের সেবা পাবেন বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহমুদ আলী। তিনি বলেন, তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধনের পর পাল্টে যাবে বিমানবন্দরের চিত্র।

বর্তমানে শাহজালালে যে দুটি টার্মিনাল রয়েছে তা এক লাখ বর্গমিটার জায়গার ওপর। তৃতীয় টার্মিনালটি বর্তমান দুটি টার্মিনালের দ্বিগুণের বেশি। ভবনটির আয়তন ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার। এটির নকশা করেছেন স্থপতি রোহানি বাহারিন, যিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনালের নকশা করে বিশ্বে খ্যাতি কুড়িয়েছেন।

শাহজালালের তৃতীয় এই টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন পায় ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ২৪ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা। টার্মিনালটির ভবন হবে তিনতলা। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয় এর নির্মাণকাজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *