অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করতে ফের এক হচ্ছে বিএনপি-জামায়াত। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সম্মতির ভিত্তিতে দলটির স্থায়ী কমিটির উচ্চ পর্যায়ের দুই নেতার সঙ্গে জামায়াতের একাধিক নেতার বৈঠকের পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এ বিষয়ে জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের গণমাধ্যমকে বলেন, বিএনপি ও জামায়াত উভয় দলের মধ্যে পারস্পরিকভাবে যোগাযোগ হচ্ছে। যেভাবেই হোক পুরনো ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার করে ক্ষমতায় বসতে হবে।
২০১৮ সালের নির্বাচনের আগেই জোট বাদ দিয়ে দলীয় স্বার্থে জামায়াতের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ায় বিএনপি। এর পেছনের কারণ হিসেবে বিএনপির লোভাতুর দৃষ্টিভঙ্গিকে দায়ী করে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির এক সদস্য বলেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্রের কোনো একটি পক্ষের পরামর্শে জামায়াতের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করে বিএনপি।
জানা গেছে, বর্তমানে নিজেদের অস্তিত্ব সংকট দেখা দেওয়ায় দুটি দলই আবার এক হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অভ্যন্তরীণ সমস্যা যতোই থাকুক না কেন, জোটগত সম্পর্ক রক্ষা করার জন্য হলেও নির্বাচনে যাবে বিএনপি-জামায়াত। সেজন্য স্পষ্টভাবে বিএনপি নির্বাচনে যাওয়ার কথা না বলতে পারলেও জামায়াতকে দিয়ে ঠিকই কৌশলে কার্যোদ্ধার করছে। তারই অংশ হিসেবে ১০ জুন (শনিবার) ১০ বছর পর কর্মী সমাবেশ করে জামায়াত। জামায়াতকে দিয়েই তারা নির্বাচনে যাওয়ার বার্তা দিতে পারে বলেও গুঞ্জন শোনা গেছে।
এ ব্যাপারে বিএনপির একটি সূত্র বলছে, কোনো বিষয় নিয়ে এখন দ্বিধা থাকলেও ঈদের পর এক দফা আন্দোলনে যাবে বিএনপি-জামায়াতসহ অন্যান্য বিরোধী দল। বিএনপি তো আন্দোলনের মধ্যেই আছে। কিন্তু ঝিমিয়ে গেছে জামায়াত। সেজন্য জামায়াতকে ঝালাই করে নিতেই এই কর্মী সমাবেশ। নিজেদের সব ঠিকঠাক করে তবেই নির্বাচনে যাবে বিএনপি।