অবরোধ কর্মসূচির সমর্থনে জাবির প্রধান ফটক সহ ৭ ফটকে ছাত্রদলের তালা

দেশজুড়ে

নভেম্বর ১, ২০২৩ ১২:৫৬ অপরাহ্ণ

অবরোধ কর্মসূচির সমর্থনে জাবির প্রধান ফটক সহ ৭ ফটকে ছাত্রদলের তালা

বিএনপির ডাকা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রধান ফটকসহ সাতটি ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (১ নভেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের সাতটি ফটকে তালা ঝুলিয়ে অবরোধ কর্মসূচী পালন করে তারা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দায়িত্বরত গার্ডদের সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ছাত্রদলের ৫-৭ জন নেতাকর্মী মোটরসাইকেল যোগে এসে ওই ফটকগুলোতে তালা লাগিয়ে দেন। এ সময় তালার সঙ্গে ‘সবার্ত্মক অবরোধ’ লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ডও ঝুলিয়ে দেন তারা। তবে প্রায় আধা ঘন্টা পর সকাল ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টরের নির্দেশে তালা খুলে দেন নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত প্রহরীরা।
দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রবেশপথে তালা দেওয়া হয়েছে বলে জানান ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।তালা লাগানোর সময় উপস্থিত ছিলেন- ছাত্রদলের মীর মশাররফ হোসেন হলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন, জোবায়ের আল মাহমুদ, নাইমুল হাসান কৌশিক, রেজাউল আমিন, সাহানুর রহমান, এম আর মুরাদ, রাজন মিয়া, নিশাত আব্দুল্লাহ, মুত্তাশিন ফুয়াদ, রাজু, আলামিন প্রমুখ।
কেন্দ্রঘোষিত তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ক্যাম্পাসের ফটকগুলোতে তালা লাগানো হয়েছে জানিয়ে ছাত্রদল নেতা নাইমুল হাসান কৌশিক বলেন, ‘কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল এ কর্মসূচি পালন করেছে। একই সঙ্গে ছাত্রলীগকে এই বার্তা দিচ্ছে যে অবিলম্বে তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ না করলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে জাবি ছাত্রদল দূবার্র আন্দোলন গড়ে তুলবে। ছাত্রলীগের প্রশাসনের মদদপুষ্ট হয়ে ছাত্রলীগের সকল সন্ত্রাসী কার্যক্রমকে প্রতিহত করে স্বৈরাচার পতন আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করবে।’
এ ব্যাপারে সহকারী প্রক্টর মওদুদ আহমেদ বলেন, “আমি ব্যক্তিগত কাজেই সকালে বের হয়েছিলাম। মীর মশাররফ হোসেন হলের ফটক দিয়ে বের হওয়ার সময় দেখি ফটক তালাবদ্ধ। পরে প্রধান ফটকে এসে দেখি সেখানেও তালা দেওয়া হয়েছে ও ছাত্রদলের ব্যানার ঝুলছে। তবে কারা তালা লাগিয়েছে আমাদের চোখে পড়েনি। আমি দ্রুত তালা ভেঙে ফেলতে বলেছি। কারণ এরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসগুলো প্রবেশ করবে, শিক্ষার্থীরা ক্লাসে আসবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার জন্যই নিরাপত্তা অফিসকে দ্রুত সবগুলো তালা ভেঙে ফেলতে বলেছি।”
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (নিরপত্তা) বলেন, “যেসব ফটকে তালা দেওয়া হয়েছিল তার সবকটি ফটকের তালা ভেঙে এখন যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করা হয়েছে। যে বা যারা এই কাজ করেছে তাদের সাথে কোনো ধরনের বিশৃংখলা হয়নি। আমাদের নিরাপত্তারক্ষীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *