এক সময় ইংল্যান্ডের শিরোপার দৌড়ে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও চেলসি, এখন লড়াই করে লিগে টপ ফোর স্পটের জন্য। বৃহস্পতিবারের (২৮ এপ্রিল) ম্যাচটিও ছিল ঠিক তেমনই। তবে সেই দৌড়ে জিততে পারেনি কেউ। ১৪ বছর পর চেলসির বিপক্ষে রোনালদোর গোলেই ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
ইপিএলে বৃহস্পতিবার ওল্ড ট্রাফোর্ডে ম্যাচের ৬২তম মিনিটে মার্কো আলোনসোর গোলে প্রথম লিড পায় চেলসি। এর দুই মিনিট পরই রোনালদো গোল করে ঘরের মাঠের সমর্থকদের হতাশার চাদর থেকে বের করে আনেন। আর রোনালদোর এ গোলটি ছিল দীর্ঘ ১৪ বছর পর চেলসির বিপক্ষে তার করা গোল।
২০০৮ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল খেলেছিল এ দুই দল। রাশিয়ার মস্কোতে সেদিন চেলসি গোলরক্ষক পিতার চেককে বোকা বানিয়ে গোল করেছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এরপর আর চেলসির বিপক্ষে গোল করতে পারেননি সাবেক এ রিয়াল তারকা। ২০০৯ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন রোনালদো। এরপর বেশ কিছুবার চেলসির বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে মাঠে নামলেও গোল করতে পারেননি সিআর সেভেন।
রিয়াল ছেড়ে য়্যুভেন্তাসে যোগ দেওয়ার পর চেলসির মুখোমুখিই হননি রোনালদো। ফলে সেখানেও গোল করার সুযোগ পাননি তিনি। এরপর চলতি মৌসুমে য়্যুভেন্তাস ছেড়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে দ্বিতীয় বারের মতো যোগ দেন রোনালদো। তবে লিগে এ দুই দলের প্রথম দেখায় গোল করতে পারেনি পর্তুগিজ এ ফরোয়ার্ড। শেষ পর্যন্ত চেলসির বিপক্ষে গোলের দেখা পেলেন রোনালদো। তার গোলেই ঘরের মাঠে হার এড়ায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
এদিকে বাজে সময় পার করছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। চলতি মাসে খেলা ৫ ম্যাচের ৪টিতেই জয়হীন তারা। নরউইচ সিটি বাদে আর কাউকেই হারাতে পারেনি রেড ডেভিলরা। লিভারপুলের বিপক্ষে হালি গোলের ব্যবধানে হারার পর, আর্সেনালের বিপক্ষেও হেরেছে ৩-১ গোল ব্যবধানে। হার এড়াতে পারেননি এভারটনের বিপক্ষেও। তাদের বিপক্ষে রোনালদোরা হেরেছে ১-০ গোলে।
লিগে ৩৫ ম্যাচে ৫৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ছয়ে অবস্থান করছে রোনালদোর ইউনাইটেড। পরের মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আশা মোটামুটি শেষ হয়ে গেলেও ইউরোপা লিগ স্পটের জন্য লড়ছে তারা।