নতুন দল হিসেবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) নাম লিখিয়েছে লখনৌ সুপার জায়ান্টস। প্রথমবারের মতো আইপিএলে অংশ নিলেও দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে দলটি। আগের ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংসকে হারিয়ে এবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদকেও দেখালো একই পথ। সোমবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে নেয় নতুন এ দল।
মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ১৬৯ রানে থেমেছিল লখনৌয়ের ইনিংস। তবে এটিকেই জয়ের জন্য যথেষ্ট প্রমাণ করেন আভেশ খান, ক্রুনাল পান্ডিয়া, জেসন হোল্ডাররা। তাদের বোলিং তোপে ১৫৭ রানে থেকে ১৪ রানে হেরেছে হায়দরাবাদ।
আসরে প্রথম জয়ের খোঁজে ১৭০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে হায়দরাবাদের প্রায় সব ব্যাটারই শুরুটা পেয়েছেন কিন্তু কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেছেন রাহুল ত্রিপাঠি। তার ৩০ বলের ইনিংসে ছিল ৫ চার ও ১ ছয়ের মার।
এছাড়া নিকোলাস পুরান ২৪ বলে ৩৪, ওয়াশিংটন সুন্দর ১৮, এইডেন মারক্রাম ১২, কেন উইলিয়ামসন ১৬ ও অভিষেক শর্মা ১৩ রানের বেশি করতে পারেননি। ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৫৭ রানে থেমে যায় ২০১৬ সালের চ্যাম্পিয়নদের ইনিংস।
ম্যাচের শেষ ওভারে মাত্র ৩ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়ে লখনৌকে জেতান হোল্ডার। সবমিলিয়ে ৪ ওভারে তার খরচ ৩৪ রান। তরুণ পেসার আভেশ খান ২৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। এছাড়া ক্রুনাল ২৭ রান খরচায় নিয়েছেন অন্য ২ উইকেট।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লেতেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে লখনৌ। সাজঘরে ফিরে যান কুইন্টন ডি কক (১), এভিন লুইস (১) ও মনীশ পান্ডে (১১)। ছয় ওভারে লখনৌয়ের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ৩২ রান।
সেখান থেকে তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলকে বিপদমুক্ত করেন অধিনায়ক লোকেশ রাহুল ও দীপক হুদা। দুজনই তুলে নেন ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি। ইনিংসের ১৬তম ওভারের প্রথম বলে দলীয় ১১৪ রানের মাথায় আউট হন ৩৩ বলে ৫১ রান করা হুদা। তার বিদায়ে ভাঙে ৮৭ রানের জুটি।
এরপর ঝড় তোলেন রাহুল। শুরুতে ধীরে খেলে ৪০ বলে করেন ব্যক্তিগত ফিফটি। পরে ৯ বল থেকে করেন আরও ১৮ রান। শেষ পর্যন্ত ১৯তম ওভারের প্রথম বলে তাকে সাজঘরে পাঠান নাটরাজন। লখনৌ অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ৫০ বলে ৬৮ রান।
একই ওভারে ক্রুনাল পান্ডিয়াকেও ফেরান নাটরাজন। তবে শেষ ওভারে একটি করে চার-ছয়ের মারে ১৫ রান তুলে নেন আয়ুশ বাদোনি ও জেসন হোল্ডার। যা দলকে পৌঁছে দেয় ১৬৯ রানে। হোল্ডার ৩ বলে ৮ ও বাদোনি করেন ১২ বলে ১৯ রান।