অফিসের কাজে ফাঁকি কোনো কর্তৃপক্ষই মানতে চায় না। কাজে অন্যমনস্কতা বা আড্ডাবাজিও কঠোরভাবে দমন করে কিছু কিছু অফিস।
মধ্যাহ্নভোজের বিরতিসহ কিংবা জরুরি প্রয়োজনে বাইরে গেলেও জবাবদিহির মুখে পড়তে হয়।
কিন্তু ভারতের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তাদের স্টাফদের যে সুযোগ দিয়েছে তা শুনলে যে কারও চোখ ছানাবড়া হতে বাধ্য।
কাজের ফাঁকে ৩০ মিনিট ঘুমাতে নির্দেশনা দিয়েছে সেই অফিস। এতে বেতনে কোনো কাটছাঁট তো হবেই না; বরং অফিস আদেশ মান্য করে লাভই হবে কর্মীদের।
ব্যাঙ্গালুরুর ‘ওয়েকফিট’ নামে এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কর্মীদের জন্য এমন নির্দেশনা জারি করেছে।
ভারতের সংবাদমাধ্যম নিউজ এইটিন বলছে, ‘ওয়েকফিট’-এর কোফাউন্ডার চৈতন্য রামালিঙ্গেগোয়া অফিসিয়ালি ই-মেইলের মাধ্যমে এক নোটিশ জারি করেছেন তার অফিসে, যেখানে আধাঘণ্টার ঘুম বাধ্যতামূলক করা হয়েছে সব কর্মীর জন্য।
এটি এখন ভারতের সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চিত বিষয়। এমন অদ্ভুত নির্দেশনার কারণ কি!- প্রশ্ন অনেকের।
মূলত ওয়েকফিট কোম্পানিটি মানুষের ঘুমের সামগ্রী বিক্রি করে। বালিশ, মেট্রেস— এ ধরনের জিনিসই পাওয়া যায় ওয়েকফিটে। কোম্পানির কর্তৃপক্ষ চান, অফিসের কর্মীরাই যেন ভালো ঘুমের উপকারিতা বুঝতে পারে। সে জন্যই এমন নির্দেশনা।
রামালিঙ্গেগোয়ার ই-মেইলে বিষয়টি পরিষ্কার।
তিনি লিখেছেন, ‘আমরা দীর্ঘ ছয় বছর ধরে মানুষের ঘুমের সামগ্রী বিক্রি করে ব্যবসা করছি। অথচ নিজেরাই ঘুমের সঙ্গে সঠিক বিচার করতে পারছি না। সবার একটু বিশ্রাম দরকার। সেই কথা ভেবেই বৈকালীন ঘুম (দুপুরের ভাত ঘুম) চালু করার কথা অনেকদিন ধরেই চলছিল। এবার বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে নিতে হবে। আজ থেকেই কম করে ৩০ মিনিটের জন্য ঘুমাতে হবে সবাইকে। কাজের মধ্যে একটু ঘুম দরকার। এতে শরীর মন ভালো থাকবে। কাজ ভালো হবে।’
কোম্পানির এমন নিয়মের প্রশংসা চলছে ভারতজুড়ে। একজন টুইট করেছেন, ‘আমিও ঠিক এটাই চাইছিলাম। ওয়েকফিট আমার মনের কথা জেনে গেছে।’ কেউ বলেছেন, ‘এমনটা সব অফিসেই করা উচিত।’
সূত্র : ইকনোমিক টাইমস, টাইমস নাউ, নিউজ১৮