যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে এবার আছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক। মঙ্গলবার (৫ জুলাই) ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পদত্যাগের আগে তার প্রতি অনাস্থা জানিয়ে তার মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন চ্যান্সেলর ঋষি সুনকসহ আরও দুই মন্ত্রী। তারপর থেকেই জল্পনা, প্রথমবারের জন্য ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসতে পারেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ৪২ বছর বয়সী ব্যবসায়ী ঋষি।
এখন পর্যন্ত স্পষ্ট নয়, কে হতে চলেছেন পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। তবে সম্ভাব্যদের তালিকার শীর্ষে রয়েছেন ঋষি সুনক।
২০১৫ সালে রিচমন্ড কেন্দ্রের কনজারভেটিভ পার্টির সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ঋষি। এর আগে ব্রিটেনের অর্থ মন্ত্রণালয়ের চিফ সেক্রেটারি ছিলেন তিনি। এরপর ২০২০ সাল থেকে সামলাচ্ছিলেন ব্রিটেনের চ্যান্সেলরের দায়িত্ব। অবশেষে গত মঙ্গলবার (৫ জুলাই) টুইটারে পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন তিনি।
ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণমূর্তি ও সুধামূর্তির মেয়ে অক্ষতার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ঋষি। তার স্নাতক স্তরের পড়াশোনা উইনচেস্টার কলেজ থেকে। এরপর অর্থনীতি, দর্শন ও রাজনীতি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন বিখ্যাত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। এমবিএ করেছেন আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। স্ট্যানফোর্ডে পড়ার সময়ই অক্ষতার সঙ্গে আলাপ হয় তার।
ঋষির বাবা ছিলেন চিকিৎসক, আর মা ছিলেন ফার্মাসিস্ট। রাজনীতিতে আসার আগে চাকরি করেছেন নামি ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকিং সংস্থায়। তারপর নিজের সংস্থাও খুলেছিলেন তিনি। এরপরেই পা রাখেন রাজনীতিতে। ব্যক্তিগত জীবনে মদ্যপান করেন না এই রাজনীতিবিদ। কোভিড বিধি লঙ্ঘন করে জনসভা করার জন্য তাকে একবার জরিমানাও দিতে হয়েছিল। তবু ব্রিটেনের কনজারভেটিভ পার্টির নতুন প্রজন্মের নেতাদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় ঋষি। এখন প্রধানমন্ত্রীর পদ সত্যিই তার দখলে আসে কি না, তা দেখতে মুখিয়ে বিশ্ব-রাজনীতি।