তামিম-মাহমুদউল্লাহর মতো মুশফিককেও ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবার পরামর্শ দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। যে কোনো ফরম্যাটে সিনিয়রদের বাদ দিতে গেলে পরিস্থিতি হয় ঘোলাটে। যথোপযুক্ত সময়ে সিনিয়র ক্রিকেটাররা নিজেরাই সরে দাঁড়ালে সব কিছু সহজ হয়ে যায় বলে মন্তব্য করেন পাপন। ভবিষ্যতে দলের প্রয়োজনে যেকোনো সিদ্ধান্তে আরও দৃঢ় হতে চায় বিসিবি।
ক্রিকেটারদের ওপর কি নিয়ে যেনো বেজায় চটেছেন বিসিবির কর্তা ব্যক্তিরা। সুযোগ পেলেই দু’কথা শুনিয়ে দিতে ছাড়ছেন না কেউ। মুস্তাফিজ সম্পর্কে খালেদ মাহমুদ সুজনের বক্তব্যের পর, নাজমুল হাসান পাপনের ঝাঝালো কথা। পঞ্চপাণ্ডব যতোদিন চাইবে খেলবে, এতোকাল এমনটা বলে আসা ক্রিকেট বোর্ডে এখন ভিন্ন সুর। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে রানের খোঁজে থাকা মুশফিককে অনেকটা সরাসরিই অবসরের পথ দেখিয়ে দিয়েছেন বোর্ড সভাপতি।
পাপন বলেন, ‘রিয়াদ টেস্ট থেকে সরে আসছে। তামিম টি-টোয়েন্টি খেলছে না, এখানে আবার মুশফিক এখনও খেলছে। তবে খুব তাড়াতাড়ি জানা যাবে ওর সিদ্ধান্ত কি। এটা নিয়ে ও চিন্তা-ভাবনা নিশ্চয়ই করছে। আমরা চাই না ওরা মন খারাপ করে যাক। আমরা চাই তারা হাসিমুখে যাক। নিজেরা সিদ্ধান্ত নেক। যত তাড়াতাড়ি নিজেরা সিদ্ধান্ত নিতে পারবে ততোই ভালো। তবে একটা সময় তো আসবে, যখন তারা নিজেদের থেকে সিদ্ধান্ত নিবেনা তখন আমাদেরকেই সিদ্ধান্তটা নিতে হবে।’
ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম ধনী বোর্ড বিসিবি। কিন্তু, অনেক সুযোগ সুবিধা সত্ত্বেও ওয়ানডে ছাড়া অন্য দুই ফরম্যাটে সেভাবে গুছিয়ে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ। সমাধান খুঁজতে খেলোয়াড় ও টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে মাঝেমধ্যেই আলোচনায় বসেন নীতি নির্ধারকরা।
বিসিবির সভাপতি বলেন, ‘টেস্টের দিকেই বেশি নজর দিচ্ছি। কারণ আমাদের ধারণা যে, যদি ক্রিকেটের ওভারঅল উন্নতি চাই তবে টেস্টের দিকেই সবচেয়ে বেশি মনযোগী হওয়া উচিত। টি-টোয়েন্টি আসার পর কিন্তু অনেক কিছু পরিবর্তন হয়ে গেছে। অনেক ভালো খেলোয়াড়রা দেখবেন যারা টি-টোয়েন্টিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে আর টেস্ট থেকে সরে যাচ্ছে।’
ভালো পারফরম্যান্সের জন্য মাঠ ও মাঠের বাইরে সুন্দর পরিবেশের বিকল্প নেই। কিন্তু, বেশ কিছুদিন ধরেই বোর্ডের সঙ্গে ক্রিকেটারদের দূরত্বের বিষয়টি সামনে আসছে। মনে হচ্ছে যেনো ক্রিকেটাররা বেয়াড়া বালকের দল আর বিসিবি কড়া অভিভাবক। এই মুখোমুখী অবস্থান কি আদৌ পথটা মসৃণ করবে?